অয়ন ঘোষাল: পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে একধাপ এগিয়ে রাখলেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ভোট লুঠের গণতন্ত্র চলছে রাজ্যে। তাই এবারের পঞ্চায়েত ভোটেও তাই হবে। দুটো উপনির্বাচন সেভাবেই জিতেছে তৃণমূল। মমতার দল এবারেও একই পথে হাঁটবে বলে তাঁর মনে হয়। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আবারও তোপ দেগে বিজেপি নেতা বলেন, ‘মমতার দলে না কি হাজার হাজার অনুব্রত, দুর্নীতির লেভেল বুঝে নিন। ভিতরে কি হয়েছে জানিনা। অনুব্রত হয়তো ভেবেছিলেন ঠিক হয়ে যাবে। জামিন হয়ে যাবে। হয়নি। যারা মিডল ম্যান, তারাই টাকা কালেক্ট করেছে। এদের ধরলে নেক্সাস ক্লিয়ার হয়ে যাবে।‘ পুজোয় ক্লাবগুলোকে অনুদান দেওয়ার প্রসঙ্গে তাঁর দাবি,  ‘একটাও কমিটি টাকা চায়নি। উনি যেচে দান খয়রাত করছেন। তাই জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। ঠিক হয়েছে।‘


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, BJP: বিলাসি রিসর্টে বাংলা বিজেপির চিন্তন শিবির, বৈভব নিয়ে উঠছে প্রশ্ন


অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে দিলীপের মত, উনি ছাড়া পেলে সব চাপা পরে যাবে। তাই সবটা না জানা পর্যন্ত ওনাকে জেলেই রাখা উচিৎ। তিনি আরও বলেন, ‘একটা অনুব্রততেই এই। মমতা বলেছেন, তার দলে হাজার হাজার অনুব্রত। তাহলে বুঝে নিতে হবে দুর্নীতির লেভেল কি।‘ বিজেপি নেতার আক্ষেপ, গোটা বাংলা এসব জানত। রাস্তা ঘাটে চায়ের দোকানে আলোচনা হত। এখন প্রমাণ সংগ্রহ শুরু হয়েছে। অন্যদিক, বিজেপি শিবিরে অভিমানী দিলীপ। এদিন তিনি বলেন, ‘আমি দলের সাধারণ কর্মী। দলের ঊর্ধ্বে নয়। কোনও কর্মসূচিতে জানালে কর্মী হিসেবে অংশ নেব।‘  তাহলে কি নেতৃত্বের সতর্কবার্তার জেরেই এমন মন্তব্য? উঠছে প্রশ্ন। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির মন্তব্য, ‘আমার সভাপতি মনে করেছেন বাংলাকে বাঁচাতে গেলে যার যার ঝান্ডা নিয়ে সবাইকে এক হতে হবে। উনি ঠিক বলেছেন। নবান্ন অভিযানে আমার জন্য আলাদা কোনও সিদ্ধান্ত হবে  না। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, আমি তাই পালন করব।‘


পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে এবারও লুঠতরাজের তত্ত্ব তুললেন দিলীপ। তিনি বলেন, ‘ভোট লুঠের গণতন্ত্র চলছে রাজ্যে। তাই এবারের পঞ্চায়েত ভোটেও তাই হবে। দুটো উপনির্বাচন ছিল। দেখলেন তো সেখানে কি ফল হল।‘ কিছুদিনআগেই কলকাতায় একটা আসনও পাবে না বিজেপি। বিজেপি কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, কলকাতায় যে অব্যবস্থা চলছে তারপরেও এই শহরের মানুষ তৃণমূলকেই ভোট দেবে।


এই সেই প্রসঙ্গেই তাঁর মন্তব্য, ‘বিজেপি কলকাতায় কবে সিট পেয়েছে? কলকাতার লোক দুর্নীতি নিয়ে ভাবে না। নিজের  সুবিধা নিয়েই থাকে। গোটা রাজ্যে প্রতিবাদ চলছে। কলকাতায় প্রতিবাদ কোথায়? তারা নিজেরা নিজেদের নিয়ে থাকেন। আমি যা বলি সত্য বলি। কারও খারাপ লাগলে আমার কিছু করার নেই। কারও যদি দম থাকে, কলকাতায় বিজেপিকে জিতিয়ে দেখাক। এখানকার বাঙালিদের এটাই ক্যারেকটার। কালিঘাটের  কাছে থাকি।  আনন্দে থাকি। ভিখারি হয়ে থাকি। কিচ্ছু যায় আসে না। পুজোর টাকা পেয়ে খুশি থাকি। ‘


আরও পড়ুন, Primary TET: 'এবার থেকে প্রতিবছর টেট হবে', ঘোষণা নয়া পর্ষদ সভাপতির


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)