নিজস্ব প্রতিবেদন: লকডাউন চলছে। উপনির্বাচন করার কোনও দরকার নেই। ভোট না করার পক্ষে খোলাখুলি সওয়াল করল রাজ্য বিজেপি (West Bengal BJP)। শুক্রবার বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu) বলেন,'মানুষের বিপদ বাড়িয়ে আর একটা ভোটের কোনও প্রয়োজন নেই।'      


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


নন্দীগ্রামে পরাজিত হওয়ায় বিধায়ক নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার ৬ মাসের মধ্যে জিতে আসতে হবে তাঁকে। সে কথা স্মরণ করিয়ে সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu) বলেন,'শুধুমাত্র একজনকে মুখ্যমন্ত্রী রাখতে হবে বলে কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের মাঝে নির্বাচন করতে হবে! এর কোনও মানে নেই। দরকার হলে ৬ মাস করে আরও দু'জন মুখ্যমন্ত্রী হবেন। আপাতত উপনির্বাচনের কোনও প্রয়োজন নেই।'


জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ টেনে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগে শাসক দলকে এ দিন বিঁধেছেন রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার (Jayaprakash Majumdar)। তিনি বলেন,'পশ্চিমবঙ্গে জরুরি অবস্থার চেয়েও খারাপ পরিস্থিতি। ১৯৭৫ সালে এই দিনেই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। আজ তাই পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে এটা মনে করাচ্ছি। ভারতের কোনও রাজ্যই এখন ভাবতেই পারে না যে জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে। একমাত্র পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে মেনে নিতে হচ্ছে এই পরিস্থিতি থেকে আমাদের নিস্তার নেই।'


'ভোট পরবর্তী হিংসা'র প্রতিবাদে আগামী মাসে লালবাজার অভিযানের ডাক দিয়েছে বিজেপি। সায়ন্তন (Sayantan Basu) জানান,'২ মে-র পর পশ্চিমবঙ্গে ১ লক্ষ মানুষ অত্যাচারিত হয়েছেন। ৬০ হাজার মানুষ ঘরছাড়া। এক হাজারের বেশি মহিলা নির্যাতিত। আগামী মাসে ১ লক্ষ মানুষ নিয়ে লালবাজার অভিযান করব। লক ডাউন থাকলেও ওই দিন মানব না।' ভুয়ো টিকাকাণ্ডে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের দাবি করেছেন সায়ন্তন। 


প্রসঙ্গত, কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আসার আগে উপনির্বাচন সেরে ফেলার প্রস্তাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন,'আমরা চাইব উপনির্বাচন হয়ে যাক। ৭ দিন প্রচারের জন্য দেওয়া হোক।' 


আরও পড়ুন- আইনে সংশোধন করুক কেন্দ্র, ৬ মাসের পরিবর্তে ১ বছরে জিতে আসার ব্যবস্থা হোক: Adhir


 (Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)