অয়ন ঘোষাল: ব্যবধান তিন দিনের। নবান্ন অভিযানের পর, বাংলায় বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতের দেখা করলেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। গেলেন মেডিক্যাল কলেজ, এমনকী হেয়ার স্ট্রিটে থানায়ও। 'বাংলায় জঙ্গলরাজ চলছে', মুখ্য়মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপি সাংসদ ব্রিজলাল। নিশানা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবার নবান্নে অভিযানের ডাক দিয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। তিন দিক থেকে মিছিল করে নবান্নে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষেরা। সেই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে কলকাতা ও হাওড়া। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিস। সঙ্গে জল কামান ও কাঁদানে গ্যাস। আটক করা হয় শুভেন্দু, লকেট ও সুকান্তকে।


আরও পড়ুন:SSC Scam: কীভাবে এসএসসিতে নিয়োগ, শান্তিপ্রসাদ-কল্যাণময়-পার্থকে এবার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা!


'বাংলায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা'। পরিস্থিতি খতিয়ে গতকাল, শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতা পৌঁছন বিজেপি ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল। নবান্ন অভিযানের দিন বড়বাজার থেকে মিছিল যাচ্ছিল নবান্নের দিকে। সেই মিছিল আটকালে পুলিসের সঙ্গে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় বিজেপি কর্মী-সমর্থক। মাথা ফেটে যায় ২২ নম্বর কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতের। কীভাবে? তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। এখন বাড়িতে রয়েছেন মীনাদেবী। আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বিজেপি কর্মীরাও। 


এদিন প্রথমে মেডিক্যাল কলেজে যান বিজেপির প্রতিনিধিদলের সদস্য ব্রিজলাল, রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর, অপরাজিতা সারেঙ্গি, সুনীল জাখড় ও সমীর ওঁরাও। সেখানে দলের যেসব কর্মীরা চিকিৎসা চলছে, তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন। পরবর্তী গন্তব্য ছিল, উল্টোডাঙায় মীনাদেবী পুরোহিতের বাড়ি। এরপর পূর্ব ঘোষণামতো হেস্টিংসে বিজেপি কার্য়ালয়ে নয়, হেয়ার স্ট্রিটে থানা হাজির হন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। কেন? প্রতিনিধিদলের সদস্য ব্রিজলাল বলেন, 'হেয়ার স্ট্রিট থানার লকআপে মিথ্যা অভিযোগে বিজেপি কর্মীদের আটক রাখা হয়েছে। তাঁরা ঠিকমতো আইনি সাহায্য পাচ্ছেন কিনা, সে বিষয়ে খোঁজ খবর নিলাম আমরা'। হেয়ার স্ট্রিট থানা থেকে হেস্টিংসে বিজেপি কার্যালয়ে যায় ৫ সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল।



সাংবাদিক সম্মেলনে প্রতিনিধিদলের সদস্য, বিজেপি সাংসদ ব্রিজলাল বলেন, 'একজন দায়িত্বশীল নেতা, যিনি এখানকার মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো। তিনি বলছেন,আমি থাকলে মাথায় গুলি মারতাম। বোঝাই যাচ্ছে, পুরো ঘটনাটা পূর্ব পরিকল্পিত। উপরমহলের নির্দেশেই বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে পুলিস। বাংলায় জঙ্গলরাজ চলছে। স্বৈরাচারী শাসন চালাচ্ছেন মমতা'। দ্রুত বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে রিপোর্ট পাঠানো হবে জানা গিয়েছে।



এদিকে বিজেপির কর্মসূচি নিয়ে নবান্নে রিপোর্ট দিয়েছেন পুলিস সুপাররা। রিপোর্টে উল্লেখ, 'নবান্নে অভিযানের দিন গার্ডরেল ভাঙার চেষ্টা করছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা। তাঁদের দেখে উৎসাহিত হন বিজেপি কর্মীরা। হাওড়া সাঁতরাগাছিতে পুলিসের উপর হামলার চালানোর জন্য আগে থেকে ইট মজুত করে রাখা হয়েছিল। পুলিস গুলি চালালে বড় কোনও ঘটনা ঘটে যেতে পারত'। সোমবার, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে কাছে বিজেপি নবান্ন অভিযান নিয়ে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)