অঞ্জন রায়


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাংলায় প্রথমবার বিজেপির রথযাত্রার প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। জেলায় জেলায় বৈঠক করছেন নেতারা। কিন্তু প্রস্তুতির মধ্যে হামলার আশঙ্কাও করছে রাজ্য বিজেপি। আর সে কারণে এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় দলের সদস্য প্রাক্তন আইপিএস আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসলেন রাজ্য বিজেপি নেতারা। ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, রথযাত্রার নজরদারিতে কলকাতায় ১০ জনের একটি দল।


নয়ের দশকে রথযাত্রা করে গোটা দেশে পদ্মচাষের বীজ ছড়িয়েছিলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। তার বিশাল ডিভিডেন্ট পেয়েছিল অটল-আডবাণীর বিজেপি। গুজরাটে ওই রথযাত্রার আয়োজনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল আডবাণীর রাজনৈতিক শিষ্য তথা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। গোবলয়ে বিজেপির রথযাত্রা বেশ পরিচিত হলেও বাংলায় এই প্রথম রথে সওয়ার হচ্ছে বিজেপি। বলাই বাহুল্য, আসন্ন লোকসভা ভোটকে সামনে রেখেই নেওয়া হয়েছে এমন কর্মসূচি। কিন্তু বিজেপির হাইটেক রথে রাজ্যের শাসক দল হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা বঙ্গ বিজেপির। নেতারা করছেন, সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত নির্বাচন ও তারপরে বেশ কয়েকটি ঘটনাতে স্পষ্ট, বিরোধী দলের নেতাদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না প্রশাসন। ফলে বিজেপির কর্মসূচি যে বাধার মুখে পড়বে, সে ব্যাপারে একশো শতাংশ নিশ্চিত বিজেপি নেতারা।


তাহলে করণীয় কী? সমাধানসূত্র খুঁজে বের করেছেন দিলীপ ঘোষরা। দলের সদস্য ও বিজেপি ঘেঁষা প্রাক্তন আইপিএস আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন বিজেপি নেতারা। ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, কলকাতায় ১০জনের একটি দল রথের যাত্রাপথের উপরে নজরদারি চালিয়ে যাবে। কোনও ধরনের গণ্ডগোলের সঙ্কেত মিললেই নেওয়া হবে দ্রুত ব্যবস্থা। এরইসঙ্গে রথযাত্রায় থাকবেন ২ জন করে প্রাক্তন পুলিস আধিকারিক। বোঝা যাচ্ছে, রথের নিরাপত্তায় প্রাক্তন প্রশাসনিক কর্তারাই বঙ্গ বিজেপির ভরসা।


উল্লেখ্য, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এরাজ্য থেকে ২২টি আসন জেতার লক্ষ্য নিয়েছেন অমিত শাহ। সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে রথে সওয়ার হতে চলেছে বিজেপি। তারাপীঠ, কোচবিহার ও গঙ্গাসাগর থেকে বেরোবে ৩টি রথ। তারাপীঠ থেকে রথযাত্রা শুরু হবে ৩ ডিসেম্বর। ৫ ডিসেম্বর রথ বেরোবে কোচবিহার থেকে। ৭ ডিসেম্বর গঙ্গাসাগর থেকে বেরোবে তৃতীয় রথ। ২৩ জানুয়ারি ব্রিগেডে মোদীর সভার আগে ২২ জানুয়ারি কলকাতায় পৌঁছবে রথগুলি। বিজেপির পরিকল্পনা অনুসারে, রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রেই পৌঁছবে বিজেপির কোনও না কোনও রথ। সেখানে সভা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে প্রচার করবেন গেরুয়া ব্রিগেডের নেতারা। বিজেপির রথ গন্তব্যে পৌঁছনো নিশ্চিত করলে কর্মীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়বে বলে মনে করছে বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ।    


আরও পড়ুন- কিং কোহলির আরও একটা শতরান,শনিবার কটা রেকর্ড ভেঙে গড়াগড়ি খেল