কমলিকা সেনগুপ্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিজেপির রাজ্য দফতরে প্রথম দিনেই নেতৃত্বের বিড়ম্বনা বাড়িয়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেটা দেখে তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করছে তৃণমূল।


দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কলকাতায় বৈশাখীকে নিয়ে প্রথম দিনই বেজায় বেকায়দায় পড়েছেন রাজ্য নেতারা। বাদ যাননি দিলীপ ঘোষও। ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল, রাজ্য দফতরে সংবর্ধনা দেওয়ার আমন্ত্রণপত্রে বৈশাখীর নাম না থাকা দিয়ে। গোঁসাঘরে চলে যান বৈশাখী। তাঁর মান ভাঙাতে আসরে নামেন নেতারা। ত্রুটি শুধরে নেয় রাজ্য বিজেপি। বিষয়টি হালকা করতে দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেন, 'আমরা জানি ভাত-ডাল তেমন শোভন দা ও বৈশাখী দি। আলাদা করে বলার কী আছে।' সেটা না-পসন্দ হয়েছে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সভাপতিকেও কটাক্ষ করেছেন। সাংবাদিক বৈঠকের পর বিধায়কদের বৈঠকে তাঁকে থাকতে দেননি দিলীপ ঘোষ। সেখান থেকে সোজা নীচে নেমে গাড়িতেই বসে থাকেন বৈশাখী। বিস্তারিত পড়ুন- রাজ্য দফতরে প্রথম দিনেই 'বৈশাখী ঝড়' সামলাতে বেসামাল বিজেপি নেতৃত্ব            



বিজেপির বিড়ম্বনার এখানেই শেষ নয়! শোভন-বৈশাখী গেরুয়া শিবিরে যোগদানের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা, রম্য রচনা। এমনকি ভাইরাল হচ্ছে নানা ভিডিয়ো ক্লিপ। যাতে বিজেপি নেতৃত্বের বিড়ম্বনা বেড়েছে বই কমেনি! নেতাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন দলের কর্মীরাই। আর বিজেপির এমন নাজেহাল অবস্থা দেখে উল্লসিত তৃণমূলের একাংশ। ভাবখানা এমন, দেখ কেমন লাগে!   


বিজেপির রাজ্য দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে পুরনো দলের সমালোচনা করেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, 'আশা করব ও সুস্থ থাকুক যা দেখলাম!' সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, মানে? জবাবটা সন্তর্পণে এড়িয়ে গিয়েছেন তৃণমূলের মহাসচিব। তবে সমাঝদার কো ইশারাই কাফি। 


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতার সরস মন্তব্য, খেলা জমে গিয়েছে। গ্যালারিতে বসে দেখতে থাকুন। 


আরও পড়ুন- আমি চলে গেলেও তৃণমূলের ক্ষতি হবে না: পার্থ চট্টোপাধ্যায়