রাজ্য দফতরে প্রথম দিনেই `বৈশাখী ঝড়` সামলাতে বেসামাল বিজেপি নেতৃত্ব
মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য দফতরে প্রথম পা রাখলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপিতে যোগদানের পর মঙ্গলবার রাজ্য দফতরে পা দিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। আর প্রথম দিনই বৈশাখীকে সামলাতে গিয়ে রীতিমতো বেগ পেল রাজ্য নেতৃত্ব। এমনকি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও পড়লেন বেজায় বিড়ম্বনায়। আর তা নিয়ে ইতিমধ্যেই চাপা ক্ষোভ রাজ্য বিজেপির অন্দরে।
শোভন চট্টোপাধ্যায়কে রাজ্য দফতরে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজ্য বিজেপির মিডিয়া সেল। কিন্তু ওই আমন্ত্রণপত্রে নাম ছিল না বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে শোভনের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন বৈশাখী। অথচ তাঁর নাম না থাকায় বেজায় ক্ষুব্ধ হন তিনি। সোজা ফোন করেন দিল্লিতে। এরপর ভুল স্বীকার করে রাজ্য বিজেপি। আমন্ত্রণপত্রে ঢোকানো হয় বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। এনিয়ে দিলীপ ঘোষ রসিকতার সুরেই বলেন, 'আমরা জানি ভাত-ডাল তেমন শোভন দা ও বৈশাখী দি। আলাদা করে বলার কী আছে।' ওই মন্তব্য যে তাঁর পছন্দ হয়নি, তা ভরা সাংবাদিক বৈঠকে স্পষ্ট করে দেন বৈশাখী। তির্যকভাবে বলেন, 'ডাল-ভাত যেটা বলেছেন, ঠিক বুঝলাম না। কাকে ডাল বা ভাত বলেছেন? ভাত শোভনদা হলে ডালের মতো মিশে যাব, এই ধারনা ভুল। ওনাকে ডাল বলতে থাকলে আমার সেই ক্ষমতা নেই, শোভন দাকে বহন করে নিয়ে যাব।'
এদিন বিজেপির দফতরে শোভন-বৈশাখীর ঢোকার কথা ছিল দুপুর দুটোয়। তাঁরা এলেন সাড়ে তিনটেয়। দুজনের অপেক্ষায় বসে থাকলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপের অনুগামীরা এটা মোটেও ভালো চোখে দেখছেন না।
ঘটনার ঘনঘটা এখানেই শেষ নয়! সাংবাদিক সম্মেলনের পর দলের বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেন দিলীপ ঘোষ। ডেকে নেন শোভনবাবুকে। ওই বৈঠকে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি তো বিধায়ক নন! তাঁকে বাইরে অপেক্ষা করার পরামর্শ দেন দিলীপ ঘোষ। কিন্তু সটান গাড়িতে গিয়ে বসে থাকেন বৈশাখী।
প্রথম দিনেই বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন কার্যকলাপ দেখে চাপা ক্ষোভ রাজ্য বিজেপির অন্দরে। অনেকেই বিষয়টি ভালো চোখে দেখছেন না। নতুন দলে এসে রাজ্য সভাপতিকে যেভাবে তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন, তা অপ্রত্যাশিত বলেই মত বিজেপি নেতৃত্বের ওই অংশের।
আরও পড়ুন- রাষ্ট্রসঙ্ঘে ধাক্কা খেয়ে কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের দরজায় যাচ্ছেন ইমরান