অর্নবাংশু নিয়োগী ও বিধান সরকার: বাংলার একশো দিনের টাকা আটকে রাখার অভিযোগ বহু পুরনো। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়-সহ তৃণমূলের একাধিক নেতা এনিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। কিছুদিন আগে কেন্দ্র সরকার কিছু টাকা দিলেও রাজ্যের এখনও পাওনা রয়েছে অনেকটাই। এবার আইসিডিএস-এর টাকা বন্ধ করার উদ্যোগ নিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্মিমিত্রা পল। বুধবার আইসিডিএস-এর টাকা বন্ধ করে দেওয়ার আবেদন নিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে এলেন অগ্নিমিত্রা। উদ্দেশ্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির কাছে এনিয়ে তদবির করা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-জামিনের আবেদন খারিজ, পুজোয় জেলেই থাকবেন পার্থ


বুধবার সন্ধায় কলকাতা বিমানবন্দরে অগ্নিমিত্রার সঙ্গে ছিলেন বিজেপির ১২ জন বিধায়ক। আইসিডিএস নিয়ে অগ্নিমিত্রা বলেন, আজ মৌখিকভাবে বাংলার আইসিডিএসের টাকা বন্ধের আবেদন জানাব। কারণ জেলায় জেলায় আইসিডিএস কর্মী নিয়োগের যে কমিটি গঠন করা হয়েছে সেখানে বিজেপির কোনও বিধায়ককে রাখা হয়নি। এটাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জানানো হবে। এনিয়ে সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারী পরবর্তীতে কেন্দ্রের কাছে লিখিত আবেদন জানাবেন।


এদিকে, বুধবার শ্রীরামপুরের এক সভায় বক্তব্য রাখছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সেখানে বাংলার একশ দিনের কাজ বন্ধ নিয়ে স্মৃতি ইরানি বলেন, কেন মমতা মানুষকে কাজ দেয়নি, কেন কৃষকদের অ্যাকাউন্ট নম্বর দেয়নি প্রথমে, কেন আয়ুষমান ভারত বাংলায় চালু করতে দেয়নি? আজকেও বলছি, যদি গরিব মানুষকে একশ দিনের টাকা দিতে তাহলে কেন তাদের একাউন্ট নম্বর দিচ্ছেন না? গ্যাসের দাম বাড়ার যুক্তি দিতে গিয়ে স্মৃতি ইরানি বলেন, ফ্রি ভ্যাকসিন,কৃষকদের টাকা দেওয়া, দশ কোটি মানুষকে বছরে পাঁচ লাখ টাকা করে সুবিধা দেওয়া,মহিলাদের একাউন্টে টাকা দেওয়া,আশি কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন কংগ্রেসের সরকার করেনি। নরেন্দ্র মোদির সরকার দিল্লি থেকে যে টাকা পাঠায় তা যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বিনা কাটামানি খেয়ে গরিবদের কাছে পৌঁছে দেয় তবে বুঝব। ইউপিএ সরকারের আমলে যে টাকা আসতো তার থেকে বেশি টাকা বাংলায় আসে মোদীর আমলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই টাকার হিসাব দিন।


বীরভূমে এক শিশুকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় আজ অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বোলপুর। হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় সেখানে গেলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসী। বাধার মুখে পড়ে ওই শিশুর বাড়িতে না যেতে পেরে তিনি থানার সামনে ধরনায় বসে যান। সেই ঘটনা প্রসঙ্গে স্মৃতি ইরানি বলেন,মা হোক বা শিশু নিরাপরাধদের মেরে ফেলা এখানকার রাজনীতি হয়ে গিয়েছে পলিটিক্যাল প্র্যাকটিস হয়ে গিয়েছে। যখন ভারতীয় জনতা পার্টির নেতারা এই কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলে তখন তাদের তৃণমূল বাধা দেয়। এটা বাংলার বাচ্চারাও জানে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনের রাজনীতি আর কতদিন চলবে সেটা আমরা দেখতে চাই।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)