নিজস্ব প্রতিবেদন:  'তৃণমূল (TMC) সামগ্রিকভাবে পায়ের তলার মাটি হারিয়ে ফেলেছে। যেখানেই বিজেপির (BJP) মিটিং-মিছিল হচ্ছে, কোথাও পুলিশের সাহায্যে, কোথাও পুলিশকে নিষ্ক্রিয় রেখে হামলা চালানো হচ্ছে।'  খড়দহকাণ্ডে রাজ্যের শাসকদলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেন বিজেপি (BJP) নেতা শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)। তাঁর অভিযোগ, 'তৃণমূল (TMC) তাদের আভ্যন্তরীণ গোষ্ঠকোন্দল মেটাতে পারছে না। দলকে সঙ্ঘবদ্ধ রাখতে পারছে না। নেতা-কর্মীদের দলত্যাগ আটকাতে পারছে না। একতরফভাবে বিজেপির (BJP) উপর হামলা চালাচ্ছে।'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: ভোটের আগে সিঙ্গুরে শিল্প-ঘোষণা করে Mamata বললেন, 'কৃষি গৌরব, শিল্প সম্পদ'


উল্লেখ্য, বেআইনি অস্ত্র-সহ ধৃত নেতার মুক্তির দাবিতে বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভ-অবরোধে গতকাল রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় উত্তর ২৪ পরগনা খড়দহ (Khardaha)। প্রথমে দফায় দফায় বিটি রোডে (BT Road) অবরোধ, শেষপর্যন্ত থানায় ঢুকে বিক্ষোভ দেখান গেরুয়াশিবিরের কর্মী-সমর্থকরা। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পুলিসের দাবি, থানায় ঢুকে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি প্রায় হাতের নাগালের বাইরে চলে যায়। বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করা হয়। লাঠির আঘাতে মহিলা-সহ দলের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন। তেমনই দাবি করা হয়েছে বিজেপির (BJP) তরফে। ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার কেষ্টপুরে ভিআইপি রোড (VIP Road) অবরোধ করেন দলের  কর্মীরা।


আরও পড়ুন: 'নিয়োগ প্রাপ্তির অধিকার খর্ব হয়েছে', ডিভিশন বেঞ্চে গড়াল উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ মামলা


খড়দহকাণ্ডে থানায় তাণ্ডব, সরকার কাজে বাধাদান-সহ একাধিক অভিযোগে ৮ জন বিজেপি (BJP) সমর্থককে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতদের এদিন তোলা হয় ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে। সকলেরই  জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারক। উল্লেখ্য, স্রেফ খড়দহেই নয়, বিজেপির পথসভাকে কেন্দ্র গতকাল তুমুল অশান্তি হয় দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে, বকুলতলা এলাকায়ও। পথসভায় হামলা ও আলো নিভিয়ে দলের কর্মীদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করা হয়।