নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতা পুরভোট আসন্ন। কিন্তু এখনও গোঁসাঘরে শোভন চট্টোপাধ্যায়। পুরভোটের আগে তাঁর মান ভাঙানোর উদ্যোগ নিলেন বিজেপি নেতারা। তবে শোভনবাবুর সঙ্গে কথা বলবেন দিল্লির নেতারা। কলকাতা পুরভোটে শোভনের সঙ্গে সব্যসাচী দত্তের অভিজ্ঞতাও কাজে লাগাতে চাইছে রাজ্য বিজেপি।     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লোকসভা ভোটে অপ্রত্যাশিত ফলের পর বিজেপির লক্ষ্য কলকাতা পুরসভা। একুশের আগে কলকাতা পুরসভা দখলে নিতে পারলে শাসক দলের কলজেয় আঘাত করা যাবে বলে মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব। বস্তুত কলকাতা পুরভোটের পরিকল্পনা দীর্ঘদিন আগেই করেছিল বিজেপি। সেই কৌশলের অংশ হিসেবে যোগদান করানো হয়েছিল শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। কিন্তু অচিরেই শোভনের সঙ্গে বাঁধে কলহ। বিজেপির অন্দরের খবর, শোভন চট্টোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে দলের সরাসরি সংঘাত হয়নি। বরং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ফ্যাসাদে পড়েছিল নেতৃত্ব। শোভন-বৈশাখীকে নিয়ে বৈঠকও করেছিলেন মুকুল রায়রা। কিন্তু তারপরেও তাঁদের দলের কাজে দেখা যায়নি। এমনকি অমিত শাহ যেদিন কলকাতায় এসেছিলেন, সেদিনও না। ভাইফোঁটায় আবার কালীঘাটে 'দিদি'র কাছে হাজির হয়ে যান শোভন-বৈশাখী। অনেকেই ভেবে নিয়েছিলেন, শোভন বোধহয় ফিরছেন পুরনো দলেই। কিন্তু তারপর কয়েক মাস কাটলেও শোভন-বৈশাখীর কোনও খবর নেই।                       


বিজেপির সঙ্গে এখনও সম্পর্কচ্ছিন্ন করেননি শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অবস্থান এখন ঠিক কী? সেটা খোলসা করে বলছেন না বঙ্গ বিজেপি নেতারাও। আসলে তাঁরা নিজেরাও আঁধারে। কিন্তু কলকাতা পুরভোটে শোভন ও সব্যসাচীকে গুরুদায়িত্ব দিতে চাইছে বিজেপি। কলকাতা পুরসভার দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর শোভনবাবু। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তৃণমূলের জেলা সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। তার উপরে মেয়র হিসেবে প্রশাসনিক কাজের অভিজ্ঞতাও রয়েছে। শোভনের মতোই মেয়র, কাউন্সিলর হিসেবে অভিজ্ঞতা রয়েছে সব্যসাচী দত্তের। হাওড়া, বিধাননগর ও কলকাতা পুরসভার ভোটের রণনীতি ঠিক করতে দুজনকে চাইছে গেরুয়া শিবির।


সব্যসাচী দত্তকে নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু শোভনবাবু কি দায়িত্ব নেবেন? শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্য নেতারা কথা বলছেন না। বরং তাঁর মান ভাঙানোর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন দিল্লির নেতারা। ২০ জানুয়ারি শোভনকে দিল্লি আসার বার্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ব্যস্ত থাকায় তিনি যেতে পারেননি। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের কথায়,''পুরভোটে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে। দিল্লিতে বৈঠক তাঁকে বৈঠকে ডাকা হয়েছে। এই বিষয়টি দেখছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।''              


আরও পড়ুন- লোকসভার মতো কলকাতা পুরভোটেও বিজেপিকে সঙ্গে নিতে আপত্তি নেই সিপিএমের!