নিজস্ব প্রতিবেদন : কে ড. হাজরা? ড. হাজরার পরিচয় জানতে হিমশিম খাচ্ছেন রাজ্য বিজেপি থেকে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতারাও। একটাই প্রশ্ন চারদিকে, কে ইনি? RSS ব্যাকগ্রাউন্ড নেই। অথচ দলে একেবারে সর্বভারতীয় সম্পাদক পদে নিযুক্ত হলেন। কে ইনি? তা খুঁজে বেড়াচ্ছেন সবাই। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিজেপি সূত্রে খবর, অনুপম হাজরা এমনিতে তফশিলি সম্প্রদায়ভুক্ত। তবে তফশিলি সম্প্রদায়ের মধ্যে উচ্চশিক্ষিত তিনি। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক কেরিয়ারেও তৃণমূলের সাংসদ হিসেবে সংসদে তাঁর পারফর্ম্যান্স ছিল উল্লেখযোগ্য। একুশের বিধানসভা নির্বাচন জয়ের লক্ষ্যে বাংলায় সর্বজনগ্রাহ্যতা তৈরি করতে এমনই একটি মুখই খুঁজছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।


অন্যদিকে এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অনুপম হাজরা বলেন, "আমি সংখ্যালঘু। আমি অধ্যাপক। আমার লড়াই করার মনোভাব আছে। লোকসভা নির্বাচনে হেরে গিয়েও মাটি ছাড়িনি। পালিয়ে যায়নি। লড়াই করে গিয়েছি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাই খুশি।" আরও বলেন, "নাড্ডাজিও আমাকে বলেছেন, তোমার বয়স অল্প। লড়ে যাও। আর আমাকে নিয়ে কোনও দূর্নীতির খবর  নেই। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব হয়তো এইসব ভেবেই আমাকে বেছেছেন। আমি আমার সব শক্তি দিয়ে এই সম্মানের মর্যাদা দেব।"


প্রসঙ্গত, তৃণমূল ছেড়ে লোকসভা ভোটে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হন অনুপম হাজরা। যদিও হেরে যান। ওই কেন্দ্রে জেতেন তৃণমূলের মিমি চক্রবর্তী। তবে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসেন। সাধারণত বিজেপির শীর্ষপদে প্রাধান্য পান আরএসএস করে আসা লোকজন। কিন্তু, ভোট-রাজনীতির বাস্তবতা মাথায় রেখে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এবার ব্যতিক্রমী হল বিজেপি। 


আরও পড়ুন, একুশের রণনীতি চূড়ান্ত করতে ১ তারিখ দিল্লিতে BJP-র বৈঠক, কোন রাজ্যের দায়িত্বে মুকুল রায়?