নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতা পুরসভা ভোটকে নজরে রেখে প্রাক্তন মেয়রকে ভাঙিয়ে বিজেপিতে এনেছিল নেতৃত্ব? কিন্তু গতবছর অগস্টে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার পর থেকে তাঁর সঙ্গে নেতৃত্বের একাংশের মনোমালিন্য। দীর্ঘদিন ধরে অন্তরালেই রয়েছেন শোভন। কলকাতায় অমিত শাহের সভাতেও তাঁকে দেখা যায়নি। কলকাতা পুরভোট যখন সন্নিকটে, তখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ভবিষ্যত কি? সূত্রের খবর, দিল্লির নেতৃত্বের তরফে শোভনকে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, তিনি সক্রিয় না হলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে সরব হবে বিজেপি।     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কলকাতা পুরসভার মেয়র, মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফার পর রাজনীতি থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। গত অগাস্টে শোভন ও বৈশাখী যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। কিন্তু তারপর থেকে তাঁর সঙ্গে মনোমালিন্য লেগেই ছিল বিজেপি নেতৃত্বের। তখন শোনা গিয়েছিল, শোভন চট্টোপাধ্যায়কে চালিত করছেন তৃতীয় ব্যক্তি। তিনি রাজ্যসভার টিকিট চান। এর মাঝেই ভাইফোঁটায় কালীঘাটে 'দিদি'র বাড়িতে যান শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর তৃণমূলে 'ঘরওয়াপসি'র জল্পনা উসকে যায় তখনই। কিন্তু তারপর আর শোভনের মতিগতি ঠাওর করা যায়নি।  


শোভন এখনও বিজেপির ছাড়েননি। সক্রিয়ভাবে দলের কাজকর্মে নেই। কলকাতা পুরভোটের আগে তাঁকে সক্রিয় করতে মাঠে নেমে পড়েছে রাজ্য বিজেপি। বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছে, কলকাতা পুরভোটে কাজে লাগতে পারে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অভিজ্ঞতা। তাঁর উপরে ভরসা করছে দল। 


কিন্তু শোভন তো এখনও অন্তরালে? সূত্রের খবর, শোভনের তৃণমূলে যাওয়া শক্ত হাতেই আটকাতে চলেছে বিজেপি নেতৃত্ব। স্পষ্ট বলা হয়েছে, তিনি এদিক-ওদিক করলেই খোলা হবে অভিযোগের 'ফাইল'। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলি নিয়ে নড়াচড়া করে উঠবে।       


বিজেপিতে যখন থাকছেন তখন শোভনের ভূমিকা কী হবে? শোভনবাবুই কি বিজেপির মুখ হবেন? নাকি তিনি আড়ালে থেকে নির্বাচনের ঘুঁটি সাজাবেন? তা এখনও স্পষ্ট নয়। 


আরও পড়ুন- কলকাতা পুরভোটে গ্ল্যামার না অভিজ্ঞতা? মুকুলের সঙ্গে মতানৈক্য রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের