নিজস্ব প্রতিবেদন: পোস্টাল ব্যালটে (Postal Ballot) কারচুরির আশঙ্কা। কিন্তু দেখা করা তো দূর অস্ত, কলকাতার পুলিস কমিশনার (CP) চিঠিরও জবাবও দেননি বলে অভিযোগ। নির্বাচনের কাজ থেকে পক্ষপাতদুষ্ট পুলিস আধিকারিকদের সরানোর দাবিতে কমিশনের (Election Commission) দ্বারস্থ হল বিজেপি (BJP)। মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ ধরে বৈঠক হয় দলের প্রতিনিধিদের। কমিশনে পুলিস অফিসারদের নামের একটি তালিকাও জমা দেওয়া হয়েছে বলে সূ্ত্রের খবর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লক্ষ্য, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্যে এবার একমাস ধরে ৮ দফায় ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। শুক্রবার নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু পুলিসের ভূমিকা নিরপেক্ষ থাকবে তো? রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (CEO) সঙ্গে দেখা করে ভোটের কাজ থেকে পক্ষপাতদুষ্ট পুলিস আধিকারিকদের অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানাল বিজেপি (BJP)। ভোটের কাজে নিযুক্ত পুলিসকর্মীরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেন। গেরুয়াশিবিরের দাবি, এবার পোস্টাল ব্যালটে কারচুরি আশঙ্কা রয়েছে যথেষ্টই। দলের তরফে একাধিকবার কলকাতা পুলিশ কমিশনারের (CP) সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি দেখার জন্য সময় দেননি। এমনকী, পুলিস কমিশনারকে যে চিঠি পাঠানো হয়েছিল, তারও জবাব আসেনি। এই পরিস্থিতিতে এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে হাজির হয় বিজেপির এক প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত (Swapan Dasgupta)।


আরও পড়ুন: বামেদের নবান্ন অভিযানে বিতর্কিত জাভেদ শামিম-কে সরাল কমিশন


উল্লেখ্য, গতকাল রাতে মানিকতলার কাদাপাড়া এলাকায় বিজেপির রথে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গেরুয়াশিবিরের দাবি, একটি গোডাউনে রথ রাখা ছিল। রাতের অন্ধকারে সেখানে গিয়ে রথটিতে ভাঙচুর চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এমনকী, চুরি হয়ে গিয়েছে এলইডি স্ক্রিন, মোবাইল ও ল্যাপটপ। এই ঘটনায় ফুলবাগান থানার ওসি কার্যত কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ। বিজেপির প্রতিনিধিদল কমিশনকে জানিয়েছে, অভিযুক্তদের জামিন যোগ্য ধারাই মামলা রুজু করাই শুধু নয়, FIR-এ চুরির কথাও উল্লেখ করেননি পুলিস।