প্রবীর চক্রবর্তী: সাবিত্রী মিত্রের বক্তব্যে উত্তাল বিধানসভা। মুলতুবি প্রস্তাব কেন খারিজ করলেন অধ্যক্ষ? শীতকালীন অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করলেন বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভার বাইরে প্ল্যাকার্ড হাতে চলল বিক্ষোভ।  'ওরা শুনতে রাজি নয়, হইচই করে খবর করতে চায়', প্রতিক্রিয়া তৃণমূল বিধায়কের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনাটি ঠিক কী? মালদহের মানিকচক কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। একসময়ে রাজ্য়ের মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। গত রবিবার মালদহে একটি জনসভায় শাসকদলের বিধায়কের বক্তব্যের একটি অংশের ভিডিয়ো টুইট করেন শুভেন্দু অধিকারী। কেন? ওই ভিডিয়োতে সাবিত্রী মিত্রকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'স্বাধীনতা আন্দোলনে গুজরাতিদের কোনও ভূমিকা নেই। গুজরাতিরা ইংরেজদের অস্ত্র সরবরাহ করত'। কেন এমন মন্তব্য? বিধায়কের বিরুদ্ধে 'বাপু, প্যাটেলদের জন্মভূমি'কে অপমান করার অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা। টুইটে শুভেন্দু  লিখেছেন, 'গুজরাতিদের প্রতি বিদ্বেষের কারণ বোধগম্য নয়। গুজরাতের মানুষের বিশ্বাসঘাতক অ্যাখ্যা দিয়েছেন। দুর্ভাগ্যজনক'। 


 




বিধানসভায় এখন শীতকালীন অধিবেশন চলছে। এদিন অধিবেশনের শুরুতেই মুলতুবি প্রস্তাব আনেন বিজেপি বিধায়করা। তাঁদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অপমান করেছেন সাবিত্রী মিত্র। বিষয়টি নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা হোক। কিন্তু বিরোধীদের মূলতুবি প্রস্তাব খারিজ করে দেন অধ্যক্ষ। কেন? তিনি জানান, 'এটি রাজ্য প্রশাসনের বিষয় নয়,'।


আরও পড়ুন: বিধানসভায় 'গল্প'? স্পিকারের কাছে জোর ধমক খেলেন হুমায়ুন কবীর!


এদিকে বিধানসভায় সাবিত্রী মিত্র যখন বলতে ওঠেন, তখন বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। পালটা বিক্ষোভে শামিল হন তৃণমূল বিধায়কও। অধিবেশন চালাকালীন বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে শাসক ও বিরোধীরা। সাবিত্রী মিত্রের দাবি, 'আমি ৯১ সাল থেকে বিধায়ক আছি। বিধানসভায় কখনও অশালীনভাবে বক্তব্য রাখেনি। আমি বিধানসভায় আমরা কথা বলেছি। ওরা শুনতে রাজি নয়, হইচই করে খবর করতে চায়'। শেষপর্যন্ত বিধানসভা ওয়াকআউট করেন গেরুয়াশিবিরের জনপ্রতিনিধিরা।




এর আগে, নন্দীগ্রামে এক জনসভায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে বেফাঁস মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছিলেন রাজ্য়ের মন্ত্রী অখিল গিরি। তিনি বলেছিলেন, 'কী রূপসী! কী দেখতে ভাল!আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তোমার রাষ্ট্রপতি কেমন দেখতে বাবা'? কেন এমন মন্তব্য'? সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে পথে নেমেছিল বিজেপি। অখিল গিরির পদত্যাগের দাবিতে রাজ্যপালের কাছে সাক্ষাতের সময় চেয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)