নিজস্ব প্রতিবেদন: কাশ্মীরে কিছু হলে বুদ্ধিজীবীরা প্রতিবাদের ঝড় তোলেন অথচ আরএসএস কর্মী, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও ৮ বছরের সন্তান খুনের ঘটনায় নীরব। জিয়াগঞ্জে নৃশংস হত্যাকাণ্ডে অপর্ণা সেনদের নিশানা করল বিজেপি। ঘটনায় প্রশাসনের গাফিলতির অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীর জবাবদিহি চেয়েছে তারা। পারিবারিক খুনের ঘটনা নিয়ে রাজ্যে বিজেপি অশান্তি ছড়াতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন,''জিয়াগঞ্জে দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। অন্তঃসত্ত্বা, ৮ বছরের সন্তানকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। কী কারণ জানি না। বন্ধুপ্রকাশ পাল স্বয়ংসেবক ছিলেন। তার কয়েক দিন আগে আরএসএসের একটি সভায় অংশ নিয়েছিলেন। তারপরই সপরিবারে তাঁকে খুন করা হল। পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা কী অবস্থায় আছে, তা আমরা জানি। একজন প্রাথমিক শিক্ষককে নৃশংসভাবে খুন হচ্ছে অথচ মুখ্যমন্ত্রী কার্নিভাল নিয়ে ব্যস্ত। ওনাকে জবাব দিতে হবে।'' 



একইসঙ্গে বাংলার বুদ্ধিজীবীদের 'নীরবতা' নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জয়প্রকাশ। তাঁর কথায়,''বাংলার সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবীরা কাশ্মীরে কী হল, দিল্লির জেএনইউ-তে কী হচ্ছে, তা নিয়ে লিখছেন। ওনাদের যত চিন্তা ভারতের অন্য জায়গা নিয়ে। বাংলা নিয়ে চুপ কেন? কেন খোঁজ রাখছেন না? প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখছিলেন। খুব ভালো কথা। বাংলা কি সেই সমাজ সচেতনতার বাইরে? আমার প্রশ্ন অপর্ণা সেনকে বাংলায় কেন প্রাণ দেবে শিক্ষক? তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী কেন প্রাণ দেবেন? আমরা সেই সুশীল সমাজকে চাই না, যাঁরা পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি করেন। ওনাদের লজ্জা হওয়া উচিত। ওদের মুখোশের পিছনে মুখ চিনে ফেলেছেন মানুষ।''


উল্লেখ্য, বিজয়া দশমীতে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কানাইগঞ্জ লেবুবাগানে একই পরিবারের ৩ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে দুষ্কৃতীরা। দিনের আলোয় বাড়িতে ঢুকে খুন করা হয় স্কুল শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল, তাঁর স্ত্রী বিউটি মণ্ডল পাল ও তাঁর ৬ বছরের ছেলে বন্ধুঅঙ্গন পালকে। বিউটি মণ্ডল অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। বন্ধুপ্রকাশ পাল তাদের সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করেছে আরএসএস।
 


আরও পড়ুন- প্রশাসনের নীরবতাই বলে দিচ্ছে তদন্তের গতিপ্রকৃতি, জিয়াগঞ্জ-খুনে প্রতিক্রিয়া রাজ্যপালের