নিজস্ব প্রতিবেদন: বিধানসভা ভোটের যুদ্ধে কোনওরকম ঢিলেমি দিতে নারাজ কেন্দ্রীয় বিজেপি। আর সে কারণে পরীক্ষিত সেনাপতিদের নিয়েই ঝাঁপাতে চলেছে গেরুয়া শিবির। এবার ৩৯টি সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতাদের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লোকসভা ভোটে ২০০ আসনের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছেন অমিত শাহ। আর সেই লক্ষ্যে সর্বশক্তি লাগাচ্ছে বিজেপি। রাজ্যে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক রয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সহ-কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন। এর সঙ্গে সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব আনা হয়েছে আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যকে। বাংলায় ভোটের আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে ঝড় তুললেই মালব্যকে বেছে নিয়েছে দিল্লি বিজেপি। এর পাশাপাশি গোটা রাজ্যকে পাঁচটি জোনে ভাগ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৫ কেন্দ্রীয় নেতাকে। উত্তরবঙ্গের দায়িত্ব পেয়েছেন হরিশ দ্বিবেদী। বিনোদ তাওড়েকে দেওয়া হয়েছে নবদ্বীপের দায়িত্ব। বিনোদ সোনকার রাঢ়বঙ্গ ও দুষ্যন্ত গৌতম কলকাতা জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা। মেদিনীপুরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুনীল দেওধরকে। এই পাঁচজনই অতীতে বিজেপিকে সাফল্য এনে দিয়েছেন। এবার ৩৯টি সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে ৩৯ কেন্দ্রীয় নেতাকে। স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কাজ করবেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, পর্যবেক্ষকদের থাকার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে রাজ্যে। ভোটের আগে এখানেই থাকবেন তাঁরা। 


ভিন রাজ্যের বিজেপি নেতাদের নিয়ে ইতিমধ্যেই কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। শাসক দলের বক্তব্য, বাঙালিদের উপরে অবাঙালি নেতাকে চাপিয়ে দিচ্ছে বিজেপি। বাঙালি নেতাদের উপরে ভরসা নেই। তা খারিজ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন,''প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কি বহিরাগত? বিজেপি জাতীয় দল। বিভিন্ন রাজ্য থেকে নেতা আসবেন এটাই স্বাভাবিক।''


আরও পড়ুন- মমতা রাজ খতম, দলে বিরোধ নেই, দাবি BJP-র 'পাণ্ডব' দুষ্যন্ত গৌতমের