নিজস্ব প্রতিবেদন: অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলে পথে নামতে চলেছে বিজেপি। বুধবার পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার এই ইস্যুতে কলকাতায় মিছিল করবে বিজেপির যুব মোর্চা ও মহিলা মোর্চা। বিজেপির দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দু'মুখো অবস্থান প্রকাশ্যে আনতেই এই কর্মসূচি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত সোমবার অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর খসড়া প্রকাশিত হতেই সুর চড়ান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক প্রতিক্রিয়ায় মমতা জানিয়েছেন, বিজেপি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যেতে পারে দেশ। মমতার আক্রমণের জবাব দিতে বুধবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন খোদ বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে আমি স্তম্ভিত। একই সঙ্গে দেশের নাগরিকদের অধিকারের কী হবে, সে প্রশ্নও তোলেন তিনি। 


এই ইস্য়ুতে এদিন মুখ খোলেন বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিন্হাও। তাঁর দাবি, 'ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে গিয়ে অবস্থান বদলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০০৫ সালে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে সংসদে সরব হয়েছিলেন তিনি। স্পিকার তাঁর বক্তব্য শুনতে রাজি না-হওয়ায় তাঁর চেয়ারের দিকে ধেয়ে গিয়ে একগোছা কাগজ ছুঁড়ে মেরেছিলেন তৃণমূলনেত্রী। সংসদে বেনজির সেই ঘটনার কুশীলব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে কোনও অনুপ্রবেশকারী নেই।'


দিলীপ ঘোষের পাশে দাঁড়িয়ে এদিন রাহুল সিন্হা বলেন, 'বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা মুসলিমরা অনুপ্রবেশকারী। এদের আমরা থাকতে দেব না। ফেরত পাঠাবোই।' রাহুল সিন্হার যুক্তি, বাংলাদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানদের ওপর নির্যাতন চলছে। প্রাণ বাঁচাতে তারা ভারতে আশ্রয় নিচ্ছেন। তাই তাদের শরণার্থী বলে মনে করে বিজেপি। কিন্তু কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক লাভের জন্য যে সমস্ত মুলসিমরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসছেন তারা অনুপ্রবেশকারীই।


পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে কিচ্ছু করতে পারবেন না অমিত শাহ, দিল্লিতে বললেন মমতা


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার দেশপ্রিয় পার্ক থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছে বিজেপি। মূলত যুব মোর্চা ও মহিলা মোর্চার ডাকে মিছিলের আয়োজন হলেও হাজির থাকতে পারেন দলের অন্যান্য শাখা সংগঠনের নেতারাও। 


অসমে অনুকরণে পশ্চিমবঙ্গেও জাতীয় নাগরিকপঞ্জী তৈরি করা উচিত বলে দাবি তুলেছে বিজেপি। তাদের দাবি, অনুপ্রবেশের ফলে বদলে যাচ্ছে এদেশের জনবিন্যাস। তাছাড়া শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানে ভাগ বসাচ্ছে অনুপ্রবেশকারীরা।