ওয়েব ডেস্ক : রেনেসাঁর বাংলায় বুদ্ধিজীবীরা গণমনে দাগ কাটতে কতটা সক্ষম তা দেখিয়েছে ২০১১। ২০১৯, ২০২১-এ সেই ফর্মুলা কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপিও। প্রতিপক্ষের কৌশল আঁচ করে দলের ঘনিষ্ঠ বিশিষ্ট জনেদের মাঠে নামিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। বাংলার ব্যাটেলে দু-পক্ষেরই বাজি বিদ্বজ্জন।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নন্দীগ্রাম-কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজপথে ধিক্কার। জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে বামেদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ। ২০১১-র বিধানসভা ভোটের আগে শহরে পরিবর্তন চাই পোস্টার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে পালাবদলে বড় ভূমিকা নেন রাজ্যের বুদ্ধিজীবীরা। বাম জমানার শেষ পর্বে বুদ্ধিজীবীদের বড় একটা অংশ বাম-বিরোধী রাজনীতির মুখ হয়ে ওঠেন। শিক্ষিত বাঙালি সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে তাঁদের আবেদন।


রেনেসাঁর বাংলায়, সংস্কৃতির বাংলায় বিদ্বজ্জনেরা বরাবরই আইকন। তাঁদের পাশে পেলে রাজনৈতিক জনমত তৈরিতে যে সুবিধা হয় তা প্রমাণ হয়ে গেছে। ছ-বছর আগের সেই শিক্ষা এখন হাতে-কলমে প্রয়োগ করতে চাইছে বিজেপিও। গত মাসে রাজ্যে এসে শিলিগুড়ি ও কলকাতায় নাগরিক সমাজের সভায় যোগ দেন অমিত শাহ। বুদ্ধিজীবীদেরও সেই সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়। ক্ষমতায় এলে সোনার বাংলা ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেন বিজেপি সভাপতি।


আরও পড়ুন- অমিত শাহর তৈরি করা জমি বাঁচাতে তত্পর বিজেপি, বুথরক্ষায় চেতলায় লকেট


গো-বলয়ে ক্ষমতা দখলের জন্য গেরুয়া শিবিরকে বুদ্ধিজীবীদের দিকে তাকাতে হয় না। কিন্তু, এ রাজ্যের গণমন চরিত্র অন্যরকম। বাংলার বুদ্ধিজীবীদের বড় অংশই এখনও তৃণমূলের দিকে। যদিও, পালাবদলে যাঁরা ছিলেন তৃণমূলের পাশে তাঁদের অনেকেই কামদুনির ঘটনার পর সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত বুদ্ধিজীবী, বিশিষ্টজনেরা প্রকাশ্যে রাজনৈতিক মতামত সেভাবে দেননি, তাঁদের কাছে টানার চেষ্টায় বিজেপি। তৃণমূলের শাসনে যাঁরা ক্ষুব্ধ তাঁদের একাংশকেও পাশে পাওয়ার আশায় রয়েছে পদ্ম শিবির।  


সকলের জন্য দরজা খোলা। খোদ অমিত শাহই তো দিয়ে গিয়েছেন এই বার্তা। কিন্তু বিদ্বজ্জনেরা যে হতে পারেন বড় বাজি তা ঘাসফুল শিবিরের চেয়ে কারা আর ভাল জানবে! তাই, গেরুয়া শিবিরের রণকৌশল পড়ে ফেলতে বেশি সময় লাগেনি তৃণমূলের।


শুক্রবার, ইউনিভার্সিটি ইন্সস্টিটিউটে গেরুয়া মতাদর্শের বিরুদ্ধে এক ছাতার নীচে ফের দেখা গেল বাংলার বিদ্বজ্জনেদের। রাজনৈতিক মহল বলছে, তৃণমূল-বিজেপি সংঘাত যত বাড়বে ততই আরও বেশি করে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে এঁদের মতামত। আর, বিজেপিও যদি তাঁদের পক্ষে থাকা বিশিষ্টজনেদের সামনে আনতে পারে তা হলে বাংলার মাটিতে শুরু হবে নতুন তরজা।