ওয়েব ডেস্ক : শিশুপাচার-কাণ্ডে দলের নাম জড়ানোয় বিজেপির ওপর চাপ বাড়ছে। এ বার চিটফান্ড কেলেঙ্কারির দ্রুত তদন্ত চেয়ে সিবিআইয়ের দরজায় কড়া নেড়ে এল গেরুয়া শিবির। চাপ, পাল্টা চাপের রাজনীতি বাড়াচ্ছে উত্তাপ। জমে উঠেছে টক্কর। চলছে, চাপ-পাল্টা চাপের খেলা। সারদা-নারদার প্রসঙ্গ তুলে এতদিন তৃণমূলকে বিঁধে এসেছে বিজেপি। শিশু দত্তকের বেআইনি ব্যবসায় দলের নাম জড়ানোয় এবার অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জুহি চৌধুরীকে পদ থেকে সরিয়ে দিলেও অস্বস্তি এড়াতে পারছেন না দিলীপ ঘোষরা। CID তদন্ত রূপা গাঙ্গুলি পর্যন্ত পৌছে যাক। চাইছে তৃণমূল। জুহির গ্রেফতারের পর কোণঠাসা অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পাল্টা চাপের রাস্তায় বিজেপি। শাসকদলের বিরুদ্ধে পুরনো চিটফান্ড হাতিয়ারে শান দিচ্ছে তারা। বুধবার নিজাম প্যালেসে গিয়ে সিবিআইয়ের যুগ্ম-অধিকর্তার সঙ্গে দেখা করেন রাহুল সিনহা-দিলীপ ঘোষ। চিটফান্ড-কাণ্ডে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান তাঁরা। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে তিন আইপিএস অফিসারও বিজেপির নিশানায়।


আরও পড়ুন- ডেরেক ও'ব্রায়েনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের বিজেপির


গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় সিপিএম-বিজেপি যোগাযোগের প্রমাণ দিতে প্রকাশ কারাট-রাজনাথ সিংয়ের একটি ছবি সামনে আনে তৃণমূল। পরে জানা যায় ছবিটি ভুয়ো। তৃণমূলের ওয়েবসাইট থেকে সেটি সরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় কলকাতার পুলিস কমিশনারের কাছে ডেরেক ও'ব্রায়েন, সুব্রত বক্সি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে মামলা করেন তিনি। আগামী সপ্তাহে শুরু হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব।


তারপরই সামনে আসবে উত্তরপ্রদেশে ভোটের রেজাল্ট। রাজনৈতিক মহল বলছে, বিজেপি-তৃণমূলের এই চাপ-পাল্টা চাপের লড়াই কতদূর গড়ায় তা ঠিক হয়ে যাবে এগারো তারিখ।