নিজস্ব প্রতিবেদন:রথযাত্রা নিয়ে নিজেদের অবস্থানেই অনড় রইল বিজেপি। লালবাজারে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে নির্ধারিত পথ ধরেই রথযাত্রা করার কথা জানিয়ে দিয়ে এলেন দিলীপ ঘোষরা। এর পাশাপাশি দু-একটা ছোট সভা পরিবর্তন করা হলেও বড় সভাগুলির কোনও বদল হবে না বলে জানিয়েছ বিজেপি। বৈঠকের আগে এদিন বিজেপি নেতাদের কাছ থেকে তালিকা চেয়ে পাঠায় প্রশাসন। তখন রাজ্য বিজেপির তরফে মুকুল রায়ের সঙ্গে দিলীপ ঘোষ ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়র নামে প্রস্তাব পাঠানো হয়। সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয় রাজ্য সরকার।      


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লালবাজার থেকে বেরিয়ে আসার পর দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, ''সরকারের তিনজন সর্বোচ্চ আধিকারিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। লিখিত আকারে রথের যাত্রাপথ জমা দিয়েছিলাম। ওই রাস্তা দিয়েই যাব। খালি দিন পরিবর্তন করতে হবে। সেভাবেই অনুমতি দিতে হবে। প্রশাসনের অনুমতি দিলেই ২-৩ দিনের মধ্যেই শুরু হবে রথযাত্রা। আমরা শীর্ষ নেতৃত্বের কাছ থেকে সময় নেব, সে জন্য সময় চেয়েছি''। ৪২টি লোকসভা দিয়েই কি রথযাত্রা হবে? দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দিলেন, আগে যেমন ছিল, তেমনই থাকবে। একচুলও পরিবর্তন হবে না। দিলীপ ঘোষের দাবি, বিজেপি নেতৃত্বের কাছ থেকে সবটা শোনার পর সময়মতো জানানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা। 


দিলীপ ঘোষের বক্তব্য পাওয়া গেলেও বৈঠক নিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। ফলে রথযাত্রার ভবিষ্যত নিয়ে এখনই কোনও উপসংহারে আসা যাচ্ছে না। শনিবারের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট দেবে প্রশাসন। 


গেরুয়া শিবিরের রথযাত্রা কর্মসূচি নিয়ে এখন শাসক দল ও বিজেপির মধ্যে চলছে মল্লযুদ্ধ। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে ধাক্কা খায় বিজেপি। এরপর ডিভিশন বেঞ্চের শরণাপন্ন হয় তারা। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ স্বস্তি দেয় বিজেপিকে। শুক্রবার বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, রথযাত্রার দিনক্ষণ নির্ধারণে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজির সঙ্গে বৈঠক করতে হবে বিজেপিকে। বিজেপির তরফে যে তিন জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে দুজন অর্থাত্ মুকুল রায় ও জয়প্রকাশ মজুমদারকে নিয়ে আপত্তি ছিল রাজ্যের। রাজ্য সরকারের যুক্তি ছিল, মুকুল রায় ও জয়প্রকাশ মজুমদারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে, তাঁদের সঙ্গে কীভাবে বৈঠকে বসবেন রাজ্যের ডিজি, মুখ্যসচিব। সেই যুক্তি উড়িয়ে দেয় আদালত। স্পষ্ট জানায়, অপরাধ প্রমাণ না হলে অপরাধী নয়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৈঠকে বসার সময় দেওয়া হয়। ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই বিজেপিকে বৈঠকে ডাকে লালবাজার। 


আরও পড়ুন- ZEE-VMR বিশ্লেষণ: ভোট বিপর্যয় হলেও ২০১৯ সালে মোদীর প্রত্যাবর্তনের আভাস