নিজস্ব প্রতিবেদন: সামনে একুশ। একুশেই রাজ্যে প্রথমবার বিজেপি সরকার গড়তে চাইছে গেরুয়াবাহিনী। একুশের যুদ্ধে সেনাপতি হিসেবে দিলীপ ঘোষের উপরেই ভরসা রেখেছে নেতৃত্ব।  এবার নিজের বাহিনী গুছিয়ে নেবেন সেনাপতি। কিন্তু দিলীপের বাহিনীতে কারা থাকবেন, তা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে টানাপোড়েন। পরিস্থিতি এমন যে চার চারটি তালিকা পৌঁছে গিয়েছে দিল্লিতে।    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যে বিজেপি বহরে বেড়েছে। তৃণমূল, সিপিএম ছেড়ে অনেকে এসেছেন দলে। তাঁদের জায়গা দিতে হবে রাজ্য কমিটিতে। এর পাশাপাশি দলের তরুণ মুখকে আনতে হবে আগামীর কথা ভেবে। সবমিলিয়ে জটিল অঙ্ক। দিলীপ ঘোষ স্বাভাবিকভাবেই চাইবেন, বিশ্বস্ত বাহিনী। ফলে তাঁর মতামত প্রাধান্য পাবেই। পাটিগণিতের অঙ্কে কে জায়গা করে নেবে, কারা বাদ যাবে, তা নিয়ে সরগরম রাজ্য দফতর। কিন্তু কমিটি নির্বাচনেও বিজেপির অন্দরের মতানৈক্য প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। 


সূত্রের খবর, ৪ টি তালিকা জমা পড়েছে দিল্লিতে। সরকারিভাবে একটা তালিকা থাকছে। একটা পাঠিয়েছে আরএসএস। আবার পৃথকভাবে দুটি তালিকা দিয়েছেন রাজ্যের দুই নেতা।প্রাথমিক তালিকা চূড়ান্ত করবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কার নাম কোন শিবিরে রয়েছে তা নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা। চলতি মাসেই সম্ভবত ঘোষণা হতে পারে রাজ্য কমিটির সদস্যদের নাম। 


লোকসভা ভোটে ফলপ্রকাশের দিনই বিজেপির নতুন কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন, এবার বাংলায় সরকার গড়বে বিজেপি। তার আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেছেন,''বাংলা, ওডিশা দখল না করলে বিজেপির স্বর্ণযুগ আসবে না।'' শ্যামাপ্রসাদের বাংলায় বিজেপির সংগঠন না থাকায় আক্ষেপ করেছিলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। গুরুর আক্ষেপ মেটাতে চান রাজনৈতিক শিষ্য। লোকসভা ভোটের প্রচারে নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে ১৭টি সভা করেছেন। তখনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, বিজেপির টার্গেট বাংলা। হতাশ করেনি রাজ্যও। ১৮টি আসন তুলে দিয়েছে গেরুয়া শিবিরের হাতে। তাতে আরও আত্মবিশ্বাস বেড়েছে রাজ্য বিজেপির। কিন্তু একটা কমিটি নিয়েই নানা মত হলে কীভাবে এগানো সম্ভব? তালিকাপ্রকাশের পর বাদ যাওয়াদের অভাব-অভিযোগও থাকবে। সেটাও সামাল দিতে হবে। 


আরও পড়ুন- রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ার আবদার, বিজেপি ও শোভনের মাঝে বাধা 'থার্ড পার্সন'