নিজস্ব প্রতিবেদন: মঙ্গলবার বিকালে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে মাঝেরহাট ব্রিজ। শহর জুড়ে ছড়িয়েছে তীব্র আতঙ্ক। এই মুহূর্তে দৈনন্দিন যান চলাচলকে অব্যাহত রাখতে বিশেষ পদক্ষেপ করেছে পুলিস। আর এর ফলেই বিকল্প পথ হিসাবে ক্রমশ চাপ বাড়ছে শহরের অন্যান্য সেতুতে। টালিগঞ্জ, চেতলা, দুর্গাপুর ও কালীঘাট ব্রিজে পড়ছে বিশেষ চাপ। কিন্তু, এসব ব্রিজগুলি কতটা পোক্ত? কোন পরিস্থিতিতে রয়েছে সেতুর স্বাস্থ্য, এই নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন রাজ্য প্রশাসন। আর তাই শহরের এইসব ব্রিজগুলির অবস্থা নিয়ে আলোচনা করতে ও উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করার উদ্দেশে বুধবার জরুরি ভিত্তিতে নবান্নে বৈঠক ডেকেছেন নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (ববি)। এই বৈঠকে শীর্ষ স্থানীয় আমলা-সহ বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়ররাও উপস্থিত থাকবেন। আরও পড়ুন- মাঝেরহাট ব্রিজ বিপর্যয় : ঘুরপথে যান চলাচল


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, কাল বিকালে ব্রিজ ভেঙে পড়ার কিছুক্ষণ পরই সন্ধ্যা নাগাদ অকুস্থলে যান ববি হাকিম। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, মেট্রো রেলের কাজের জন্য ব্রিজের ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু, বুধবার এই দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য 'রাইটস'-কে দায়িত্ব দেয় রেল কর্তৃপক্ষ। কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থাটির প্রতিনিধিরা দায়িত্ব পেয়েই বুধবার সকালে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে এবং প্রাথমিক রিপোর্ট দেয় পূর্ব রেলকে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, মেট্রো রেলের কাজের সঙ্গে এই ব্রিজ বিপর্যয়ের কোনও সম্পর্ক নেই। বরং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবকেই দায়ী করেছে রাইটস। সংস্থাটির দাবি, ব্রিজে বেশি ভার পড়েছে এবং সঠিক প্রক্রিয়ায় উপরের অংশে ভার নিয়ন্ত্রণ হয়নি বলেই এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঠিক কী হয়েছে মাঝেরহাটে? পড়ুন- ফের উড়ালপুল দুর্ঘটনা, ভেঙে পড়ল মাঝেরহাট ব্রিজ! একাধিক প্রাণহানির আশঙ্কা


উল্লেখ্য, গতকাল এই দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সন্ধ্যাবেলায় প্রতিক্রিয়া দেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। তিনি বলেন, ব্রিজটির যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি। পাশাপাশি, তিনি এই দুর্ঘটনার জন্য রাজ্য পূর্ত দফতর এবং রেলকে দায়ী করেন। রেল অবশ্য মঙ্গলবার রাতেই যাবতীয় দায় অস্বীকার করেছে। তারপরেই বুধবার তদন্তের জন্য রাইটস-কে নিয়োগ করা হয়। রাইটস-এর রিপোর্টেও অবশ্য সব দায় রাজ্যের ঘাড়ে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এরপরই ববি হাকিমের এমন জরুরি বৈঠকের সিদ্ধান্তকে তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।