নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা কেড়েছে প্রাণ। কিন্তু মৃত্যু কোথায়? সে প্রশ্নের মীমাংসা হয়নি এখনও। পেরিয়ে দিয়েছে ১২ ঘণ্টারও বেশি সময়। বেসরকারি হাসপাতালে মর্গে পড়ে রয়েছে পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই মলি খান রায়ের দেহ। ডেথ সার্টিফিকেট জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন কলেজ পড়ুয়া বোনপো।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মলির বাড়়ি এই শহরেই, আরজিকর হাসপাতাল লাগোয়া ব্রিজের নীচে। পরিবার বলতে তেমন কেউ নেই। বোনপো অভিজ্ঞানের সঙ্গে থাকতেন তিনি। অভিজ্ঞানের কথায়, 'কয়েক দিন ধরে প্রচন্ড কাশি হচ্ছিল, বুকে সর্দি বসেছিল। আরজিকর হাসপাতালে মাসির করোনা পরীক্ষা হয়। ২৭ তারিখ পজিটিভি রিপোর্ট আসে। চিকিৎসক বাড়িতেই রাখতে বলেছিলেন'। বৃহস্পতিবার রাত থেকে আচমকাই শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে ওই মহিলার।


আরও পড়ুন: করোনায় মৃতদের সৎকার সমস্য়ার সমাধানে ৪৬৬ নোডাল অফিসার নিয়োগ রাজ্যের


মাসিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন অভিজ্ঞান। তাঁর দাবি, গভীর রাতে যখন অ্যাম্বুল্যান্সে আসে, তখন শ্বাসকষ্টে রীতিমতো কাহিল অবস্থা রোগীর। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মতো তাঁকে নিউটাউনের সেফ নিয়ে যান অ্যাম্বুলেন্স চালক। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। কিছুক্ষণ পরে সেফ হাউসেই মারা যান মলি। এরপরই শুরু টানাপোড়েন।


অভিজ্ঞানের দাবি, খবর দেওয়ার পর ডাক্তাররা এসে মৌখিকভাবে ওই মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করে দেন। কিন্তু ডেথ সার্টিফিকেট? রোগী রাস্তাতেই মারা গিয়েছেন, এই যুক্তিতে ডেথ সার্টিফিকেট দিতে অস্বীকার করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর ফের স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে করোনা মৃতকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজারহাটেরই একটি বেসরকারি হাসপাতালে। এবারের অভিজ্ঞতা আরও ভয়াবহ! অভিযোগ, মলি খান রায়ের দেহ দীর্ঘক্ষণ হাসপাতালে বাইরে অ্যাম্বুলেন্সেই পড়েছিল। শেষপর্যন্ত দেহটি পাঠিয়ে দেওয়া হয় মর্গে! হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, তিনি তো সেফ হোমে মারা দিয়েছে। তাই ভর্তি না হওয়া রোগীকে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া যাবে না! শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও শেষকৃত্য করা যায়নি।


আরও পড়ুন: বাড়িতে থাকতে হবে ১০ দিন, একান্তবাসের সময় কমিয়ে বিধি-নির্দেশ কেন্দ্রের


এদিন কোভিডে মৃতদের দ্রুত সৎকার সেরে ফেলতে ৪৬৬ জন নোডাল অফিসার নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য় সরকার। সরকারের নির্দেশ, মৃত্যুর ৩ ঘণ্টার মধ্যে শেষকৃত্য সেরে ফেলতে হবে। নবান্ন সূত্রে খবর, রোগীর শেষকৃত্যের সমস্ত খরচও রাজ্য বহন করবে, তবে ডেথ সার্টিফিকেট (Death Certificate) দেখাতে হবে পরিবারকে। কিন্তু মহার্ঘ্য ডেথ সার্টিফিকেটটি (Death Certificate) দেবে কে?