ওয়েব ডেস্ক: বোধনেই বিসর্জন। গতকাল বিকেল থেকে শুরু হওয়া নাটকের যবনিকা পতন। দেশপ্রিয় পার্কের পুজো বন্ধ করে দিল পুলিস। ষষ্ঠীর বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে নগরপাল জানিয়ে দিলেন, মানুষের নিরাপত্তাই কলকাতা পুলিসের অগ্রাধিকার। তাই, এ বছর আর দর্শনার্থীরা বড় দুর্গা দেখতে পারবেন না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুজোর অনেক আগেই তিলোত্তমার মুখ ঢেকেছিল বিজ্ঞাপনে। দেশপ্রিয় পার্কে এ বার দেখা যাবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্গা।


তৃতীয়ায় পুজোর উদ্বোধনে মেয়র...


পর্দা সরার ছবি


তৃতীয়া থেকেই ভিড়, পঞ্চমীতে জনসুনামি


পঞ্চমীর বিকেল থেকেই থমকে রাসবিহারী অ্যাভিনিউ।


একদিকে কালীঘাট মেট্রো স্টেশন। অন্যদিকে বালিগঞ্জ স্টেশন। কাতারে কাতারে মানুষ বড় দুর্গা দর্শনে।


পুলিস ফেল। প্রবল বিশৃঙ্খলা। ধাক্কাধাক্কি। মাথা ফাটল দর্শনার্থীদের। দেশপ্রিয় পার্কের গেট বন্ধ করে দিল পুলিস। পুজো মণ্ডপে গেলেন নগরপাল।


পঞ্চমীর রাতেই সাংবাদিক বৈঠকে পুলিস কমিশনার জানিয়ে দেন, দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দেশপ্রিয় পার্কের পুজো তাঁরা আপাতত বন্ধ রাখছেন।


ষষ্ঠীতেও বড় দুর্গার টানে...


পঞ্চমীর রাতেই কাপড়ে ঢাকা পড়ে বড় দুর্গা। দর্শনার্থীদের দৃষ্টিকে ফাঁকি দিতে দেশপ্রিয় পার্কের পাঁচিলে লাগানো হয় উঁচু ফ্লেক্স। তবুও, ষষ্ঠীর সকাল থেকে উঁকিঝুঁকির বিরাম ছিল না। পুজো বন্ধের নির্দেশ জেনে হোক বা না জেনে, বড় দুর্গা দেখতে হাজির জেলা, এমনকি ভিন রাজ্যের দর্শনার্থীরাও।



বেলা একটা, আবার উঠল পর্দা---


পার্কের বাইরে থেকে দুর্গা আবার দৃশ্যমান। উদ্যোক্তারা বললেন, দর্শনার্থীদের কথা ভেবে পুলিসের সঙ্গে কথা বলেই তাঁরা পর্দা সরিয়েছেন। যদিও, পুলিস তা মানতে চায়নি।



ষষ্ঠীর সারাদিনই দেশপ্রিয় পার্কে ছিলেন লালবাজারের বড়কর্তারা। রাসবিহারী অ্যাভিনিউ ও শরত্‍ বোস রোড খোলা থাকলেও পার্ক লাগোয়া ছোট রাস্তা মতিলাল
নেহরু রোড, মনোহরপুকুর রোডে ব্যারিকেড বসিয়ে দেয় পুলিস।



এ বারের মতো পুজো বন্ধ---


ষষ্ঠীর সন্ধেয় সব নাটকের অবসান। পুলিস কমিশনার জানিয়ে দিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য দেশপ্রিয় পার্কের পুজো দেখা এ বারের মতো বন্ধ।


মণ্ডপের ভিতর পুজো চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে পুলিস। কিন্তু, দর্শনার্থীরা না থাকায় বোধনের সন্ধেতেই দেশপ্রিয় পার্কে বিসর্জনের সুর।