কলকাতা: পঞ্চমীতেই 'বিসর্জন' হয়েছিল কলকাতার সবথেকে চর্চিত দেশপ্রিয় পার্কের দুর্গা পুজোর। পুজো শুরুর প্রথম দিনেই জনসমুদ্রে হাবুডুবু খেয়েছে কলকাতা পুলিস। থমকে যায় কলকাতা। এরপরই পুলিস কমিশনার সিদ্ধান্ত নেন এবারের মত সাধারণের জন্য বড় দুর্গার দরজা বন্ধ। বাইরে থেকে ঢেকে দেওয়া হয় দেশপ্রিয় পার্কের মাঠ। ঢেকে দেওয়া হয় বড় দুর্গার মুখ। বাইরে আলোর রোশনাই নেই, ভিতরে টিম টিমেই চলল পুজো। এবার বিদায়ের পালা। শনিবার সিঁদুরখেলায় মেতে উঠলেন দেশপ্রিয় পার্কের মানুষ। রবিবার দেশপ্রিয় পার্কের দেবী প্রতিমার বিসর্জন। মন খারাপ সবার, তবে দেশপ্রিয় পার্কের পুজো উদ্যোক্তারা চাইছেন তাদের আবিষ্কারকে সংরক্ষণ করা হোক। সাধারণ মানুষ পুজোতে যে দর্শন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তাঁরা যেন সারা বছরই তার দর্শন পায়।     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সরকারের তরফে কোনও প্রোপোজাল?


রাজ্য সরকারের তরফে এখনও কোনও প্রোপোজাল আসেনি। আমাদের তরফ থেকে সরকারকে জানানো হয়েছে। লক্ষ্মী পুজোর পর কথা বার্তা হবে", ২৪ ঘণ্টাকে এই কথাই জানান দেশপ্রিয় পার্কের পুজোর এক কর্মকর্তা। সহযোগিতার চেয়ে সরকারের কাছে তাদের আবেদন, 'সরকার সহযোগিতা করুক। আমাদের ক্লাবের কর্তারাও সহোযোগিতা করবে'।


বড় দুর্গা সংরক্ষণে কারা আগ্রহী?


দেশপ্রিয় পার্কের অধিকর্তা জানান,"নিকো পার্কের এক কর্তা কথা বলেছেন আমাদের সঙ্গে। তাঁরা বড় দুর্গা সংরক্ষণ করার জন্য আগ্রহী। মিসেস বিড়লাও এসেছিলেন। কলকাতায় সেরকম একটা জায়গা পাওয়া গেলে তিনিই আমাদের এই আবিষ্কারকে সংরক্ষণ করতেন। এছাড়াও টেকনো ইন্ডিয়ার সঙ্গে কথা বার্তা হয়েছে"।


কোথায় হবে বড় দুর্গার সংরক্ষণ ?


সাধারণ লোকের একসেস যেখানে বেশি, সেখানেই বড় দুর্গাকে রাখা হোক, মত দেহপ্রিয় পার্কের পুজো কমিটির। ইকো পার্কই তাদের প্রথম পছন্দ।  


দেশপ্রিয় পার্কে আজ সিঁদুরখেলা। প্রতিকূলতা কাটিয়ে এখন আনন্দ করছে দেশপ্রিয় পার্কের বাসিনাদারা। তাদের আক্ষেপ একটাই 'আনন্দ করেছি, কিন্তু একটা জিনিসি মিসিং। সাধারণ মানুষ। কেবল মানুষই নেই'। এবার মানুষের কাছে বড় দুর্গার দরজা খুলে দিতেই সংরক্ষণ চাইছে দেশপ্রিয় পার্ক।