চাকরিপ্রার্থী তরুণীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে সরানো হল বোস ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার সুরজিত্‍ পানিগ্রাহীকে। এখন ওই রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক। নতুন রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন শম্পা দাস। বোস ইনস্টিটিউটের স্টেনোগ্রাফার পদে নিশ্চিত চাকরির প্রতিশ্রুতি। আর রেজিস্ট্রার সুরজিত্‍ পাণিগ্রাহীর সেই ফাঁদেই পা দিয়ে বসেন এক তরুণী। ২৪ ঘণ্টায় প্রকাশিত হয়েছিল সেই খবর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিনিময়ে চলত ঘনিষ্ঠতা এবং রাতবিরেতে অশালীন এসএমএস। কিন্তু সর্ষের মধ্যে ভূতের আশঙ্কা করেই ইন্টারভিউ পিছিয়ে দেওয়া হয়। আর এরপরই  রেজিস্ট্রারের কারসাজিতে বাতিল হয়ে যায় গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া। কিন্তু দেশের অন্যতম প্রথম সারির গবেষণা কেন্দ্রে চাকরির নামে এই কাণ্ড ফাঁস করে চব্বিশ ঘণ্টা। চব্বিশ ঘণ্টায়  প্রথম দেখানো হয়, পরীক্ষার আগেই দু সেট প্রশ্নপত্র পৌছে দেওয়া হয় চাকরি প্রার্থীর বাড়িতে।


রেজিস্ট্রার অস্বীকার করলেও তরুণী কিন্তু জানিয়ে দেন, অসহায়তার সুযোগ নিয়ে রেজিস্ট্রার তাঁকে দিনের পর দিন যৌন হেনস্তা করেছেন। সেই ঘটনার জেরে অবশেষে পদ খোয়ালেন কীর্তিমান রেজিস্ট্রার সুরজিত্‍ পানিগ্রাহী। চব্বিশ ঘণ্টায় রেজিস্ট্রারের কুকীর্তীর খবর ফাঁস হতেই মানিকতলা থানায় রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। অভিযোগ হয় সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখায়। তদন্তের সুপারিশ করেন রাজ্যপাল। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাষ্ট্রপতির দফতর থেকে নির্দেশ যায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকে। এরপরই শুরু হয় সুরজিত্‍ পানিগ্রাহীর বিরুদ্ধে ভিজিলেন্স তদন্ত। তদন্তের মধ্যেই অভিযুক্ত রেজিস্ট্রারকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। সুরজিত্‍ পানিগ্রাহীর জায়গায় বোস ইনস্টিটিউটের নতুন রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব নিচ্ছেন প্লান্ট বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপিকা শম্পা দাস।