ওয়েব ডেস্ক: বৌবাজারে ভিড়ে ঠাসা-ব্যস্ত রাস্তায়, দিনেদুপুরে ধারালো অস্ত্রের একের পর এক কোপ। বুকে, পেটে, মাথায়, গলায় কোথাও বাদ নেই। হিন্দ সিনেমার কাছে, ক্যালকাটা গার্লস স্কুলের সামনে আজ এই খুনোখুনি কাণ্ড বেধে যায়। টাকা-পয়সা নিয়ে প্রথমে বচসা, এরপর তা গড়ায় খুন পর্যন্ত। গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত। রক্তে তখন ভাসছে বিপ্লবী অনুকূল চন্দ্র স্ট্রিট। ক্যালকাটা গার্লস স্কুলের সামনে রাস্তায় চাপ-চাপ রক্ত ছড়িয়ে। শুরুটা হয়েছিল সামান্য বচসা থেকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রামেশ্বর সাহানি এবং বুদ্ধদেব সাহা, দুজনের মধ্যে ঝামেলা চলছিল।হঠাত্‍ই কোমর থেকে ধারালো অস্ত্র বের করে বুদ্ধদেব সাহার ওপর, ঝাঁপিয়ে পড়ে রামেশ্বর। সামনে ক্যালকাটা গার্লস স্কুল থেকে তখন বেরোচ্ছিল ছাত্রীরা। চোখের সামনে এমন ঘটনা দেখে হকচকিয়ে যায় তারা। কাছেই সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে একটি অনুষ্ঠানে প্রচুর পুলিস মোতায়েন ছিল। সেখান থেকে ছুটে আসেন তাঁরা।
ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে।


অভিযুক্ত রামেশ্বর সাহানি জমি-বাড়ি সহ সম্পত্তির দালালি করে। নিহত বুদ্ধদেব দাসের নিজের দোকান আছে। এর পাশাপাশি, সুদের ব্যবসা এবং প্রোমোটিংয়ের সঙ্গেও জড়িয়ে তিনি।  ধৃত রামেশ্বরের দাবি, প্রোমোটিংয়ের জন্য তার কাছ থেকে এক কোটি কুড়ি লক্ষ টাকা ধার করেন বুদ্ধদেব। কিন্তু সেই টাকা কিছুতেই ফেরত দিচ্ছিলেন না তিনি। এনিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা চলছিল।রাগের মাথায় এই খুন বলে দাবি ধৃতের। যদিও প্রশ্ন উঠছে, আগে থেকেই খুনের পরিকল্পনা না থাকলে, কেন অস্ত্র ছিল তার কাছে?


তবে এখানেই শেষ না। খুনের পরও আরও কাণ্ড বাকি ছিল। স্থানীয়দের দাবি, ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই খুনির খোঁজে এলাকা দাপাতে শুরু করে একদল বাইক বাহিনী। প্রায় সাত-আটটি বাইক এলাকা চষে বেড়াচ্ছিল। সওয়ার যুবকদের প্রত্যেকের কোমরে ছিল পিস্তল। আতঙ্কিত বাসিন্দাদের প্রশ্ন, এ কোন কলকাতা? এই কি নিরাপত্তার ছবি, যেখানে যখন-তখন খুন করে ফেলা জলভাত, প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়ানো আম ব্যাপার?