অয়ন ঘোষাল: বিপর্যয়ের পর দ্বিতীয় দিনে শুনশান বউবাজার। মাটির উপর ও নীচে কেমিক্যাল গ্রাউটিংয়ের কাজ চলছে। আতঙ্কের বউবাজারে গেরো ভূগর্ভস্থ জল। মাটির নীচে আপত্কালীন যাতায়াতের  রাস্তায় যেখানে জল বেরোচ্ছিল, সেখানে কংক্রিট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও চুঁইয়ে জল বেরোচ্ছে। শুক্রবার ভোরের দিকে ফাটল দেখা যায় বউবাজারের মদন দত্ত লেনের ১০টি বাড়িতে। শুধু তাই নয়, বেলা গড়াতে নতুন করে ফাটল ধরে  ১৮৫ এবং ১৮৫/১ বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের দুটি বাড়িতেও। ফের বাস্তুহারা-ভিটেহারা বউবাজারের বাসিন্দারা। পাঁচটি হোটেলে একশো ছত্রিশজনকে সরানোর ব্যবস্থা করা হলেও  এখনও হোটেল পাননি অনেকে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Primary TET: প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি চাই, ১ দিনে হাইকোর্টে ১৪০০ আবেদন!


এরই মধ্যে আরও ৩৪টি বিপজ্জনক বাড়ি খালি করার কথা শনিবার, মেট্রো বিপর্যয়ে এমনটাই জানিয়েছে কেএমআরসিএল। আজ কেএমআরসিএলকে বৈঠকে ডাকেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে বিপর্যয়ের নেপথ্যে মেট্রোর রুট বদল। কিন্তু এই যুক্তি মানতে নারাজ কেএমআরসিএল। মেট্রো কর্তাদের দাবি, দুটি মেট্রো টানেলের মাঝে  আপত্‍কালীন যাতায়াতের রাস্তা তৈরির সময় জল বেরিয়ে বিপত্তি। তাহলে বিপর্যয় মোকাবিলায় কী ব্যবস্থা? 


মদন দত্ত লেন ও বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের দশটি বাড়িতে নতুন করে ফাটল দেখা দেওয়ার জেরে শুক্রবার দিনভর উত্তপ্ত রইল বউবাজার। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, মেয়র ফিরহাদ হাকিম, স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে। মেট্রোর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন ফিরহাদ হাকিম ও বিশ্বরূপ দে। এদিন স্থানীয় সাংসদ, পুর প্রতিনিধি ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ বৈঠকে বসেন। বৈঠকে ঠিক হয় সোমবার সুদীপ বন্দোপাধ্যায় কেএমআরসিএলকে তিরিশটি প্রশ্ন সহ চিঠি পাঠাবেন। মঙ্গলবার তার প্রেক্ষিতে শ্বেতপত্র তৈরি করে বুধবার শ্বেতপত্র পেশ করবে কেএমআরসিএল। তার আগে অবশ্য মেট্রো কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট দেবেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা।


আরও পড়ুন, SSC: মেধাতালিকায় নাম থাকলেই চাকরি! নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করল এসএসসি


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)