ওয়েব ডেস্ক: বউবাজারের আগুন ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল দমকলের কঙ্কালসার চেহারা। ইঞ্জিন এল অনেক দেরিতে। আটকে পড়া বাসিন্দাদের নামানোর জন্য ছিল না ল্যাডারও। বাসিন্দাদের নামতে হল পাইপ বেয়ে। যদি ঘটে যায় আরও একটি স্টিফেন কোর্টের মতো ঘটনা? তখন কী করবে দমকল? ফের উঠে গেল প্রশ্ন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রাণ বাঁচাতে পাইপ বেয়ে নামতে হল বাসিন্দাদের। ঘটে যেতে পারত আরও বড় দুর্ঘটনা। কিন্তু বউবাজারে আটকে পড়া বহুতলের বাসিন্দাদের কেন এভাবে প্রাণ বাঁচাতে পাইপ বেয়ে নামতে হবে? কোথায় দমকলের ল্যাডার? কোথাই বা ওয়াটার বাউজার? সেগুলি কি শুধুই ফায়ার স্টেশনের শোভা বাড়ানোর জন্য?


বহুতলে আগুন লাগলে ওয়াটার বাউজার ছাড়া আগুন নেভানো বেশ কঠিন। আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধারের জন্য ল্যাডার মাস্ট। কিন্তু দমকল আধিকারিকের মুখে অন্য কথা। বোঝাই যাচ্ছে, স্টিফেন কোর্টের পর এখনও হুঁশ ফেরেনি দমকলের। ২০১০-এর মার্চের সেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের স্মৃতি এখনও টাটকা। ল্যাডার পৌছতে পৌছতেই কেটে যায় অনেকটা সময়। প্রাণ বাঁচাতে জানলা দিয়ে লাফ মারেন বহু মানুষ। কার্নিস বেয়েও নামতে দেখা যায় অনেককে।


দমকলের ল্যাডার রাখার জায়গা তখন মাত্র দুটি। একটি সল্টলেক, অন্যটি বেহালা শীলপাড়া। মধ্য কলকাতায় আগুন লাগলে এই দুটি জায়গা থেকে ল্যাডার আসতে আসতেই আগুন তার কাজ সেরে ফেলবে অনায়াসেই। আর সে কারণেই স্টিফেন কোর্টের মৃত্যুমিছিলের পর ঠিক হয়, ময়দানে ল্যাডার রাখার আরও একটি ব্যবস্থা করা হবে। 


আরও পড়ুন বউবাজারের বহুতলে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড


কিন্তু ৬ বছর কেটে গেলেও দমকল রয়ে গিয়েছে সেই তিমিরেই। শনিবার বউবাজারের আগুন আরও একবার সেই ছবিটাই সামনে নিয়ে এল। দমকল আধিকারিক অবশ্য ল্যাডার ঢোকার অদ্ভুত কারণ দেখিয়েছেন। এই যে মাকড়সার জালের মতো তারের জঙ্গল, ঘিঞ্জি গলিতে কীভাবে ঢুকবে দমকলের ল্যাডার, সেটা দেখবে কে? কী করছে মনিটরিং কমিটি?


প্রশ্ন অনেক। উত্তর নেই একটারও। বউবাজারে না হয় কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু কলকাতায় ফের যদি বড়সড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, তখন কীভাবে সামাল দেবে দমকল?