Bratya Basu: চিঠির আইনি বৈধতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ! ব্রাত্যর কড়া জবাবে ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত
`ভাসা ভাসা বিবৃতি দিয়ে লাভ নেই। এগুলো আখেরে কোনও কাজ দেয় না। একরকম অনুভব করে আরেকরকম বলা পাপ। যা বলতে পারেন এবং যা করতে চান, তা খোলসা করে বলতে বা করতে পারেন।`
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্য়ায়: এ যেন সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলিতেছে! ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। সংঘাতের প্রসঙ্গও এক। শিক্ষাক্ষেত্রে মতানৈক্য। সব উপাচার্যকে রাজভবনের চিঠি। সপ্তাহভিত্তিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ রাজভবনের। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে যার কড়া জবাব দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শিক্ষামন্ত্রীর সাফ বক্তব্য, এই চিঠির কোনও আইনি ভিত্তি নেই। আইনি পরামর্শ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। রাজ্যপালকে বলব চিঠি প্রত্যাহার করে নেওয়া হোক। এই চিঠি নৈতিকভাবে ঠিক নয়।
ব্রাত্য বসু আরও বলেন, 'সব বিশ্ববিদ্যালয়-ই স্বশাসিত। সেখানে খুব অবাঞ্ছিত ঘটনা ছাড়া শিক্ষা দফতরও খবরদারি করতে চায় না। তাই রাজ্যপালকে বলব, সম্মান রেখে চিঠিটা যেন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। রাজভবনের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক বদনামের বা প্রতিযোগিতার নয়, বরং সহযোগিতার। উচ্চশিক্ষা দফতর কোনও দ্বৈরথে যেতে চায় না। ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই একসঙ্গে কাজ করব। কিন্তু এই চিঠির আইনি বৈধতা নিয়ে সংশয় আছে। এই চিঠির বিষয়ে জানতাম-ই না।' ব্রাত্য জানান, উচ্চশিক্ষা দফতরকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে এই চিঠি উপাচার্যদের পাঠানো হয়েছে।
এমনকি রাজ্যপালের উদ্দেশে ব্রাত্য বসু আরও বলেন, 'ভাসা ভাসা বিবৃতি দিয়ে লাভ নেই। এগুলো আখেরে কোনও কাজ দেয় না। একরকম অনুভব করে আরেকরকম বলা পাপ। যা বলতে পারেন এবং যা করতে চান, তা খোলসা করে বলতে বা করতে পারেন। আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই।' সি ভি আনন্দ বোসের সমালোচনা করার পাশাপাশি, প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী এবং জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গেও তুলনা করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
প্রসঙ্গত, বর্তমান রাজ্যপালের সঙ্গে প্রথমদিকে সুসম্পর্ক-ই ছিল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের। তখন বিজেপি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছিল। তবে রাজ্য-রাজ্যপাল সম্পর্কের 'হানিমুন পিরিয়ড' কাটতে বেশি দেরি হয়নি। রাজভবনের প্রধান সচিব পদ থেকে নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরিয়ে দেওয়ার মধ্যে দিয়েই নতুন করে রাজভবন-নবান্ন সংঘাত শুরু হয়েছে। নবান্নের পাঠানো তালিকা থেকে এখনও পর্যন্ত কাউকে রাজ্যপাল বেছে না নেওয়ায় রাজভবনের প্রধান সচিব পদ এখনও খালি-ই পড়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন, Rishra Violence: অশালীন ভাষা থেকে বেআইনি ডিজে! রিষড়াকাণ্ডে উসকানি রামনবমীর মিছিল থেকেই...