কলকাতার অন্যতম হেভিওয়েট পুজো নাকতলা উদয়ন সংঘ। সেখানে এ বার গানের সুরে পুজো। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একটু ব্যাখ্যা জরুরি। কবীর সুমনের একটি গানের লাইনকেই এ বারে এখানে মণ্ডপের ক্যানভাসে তুলে ধরা হচ্ছে।


সেই থিম-গানের ভেতরে অবশ্য শারদীয় আনন্দের সঙ্গে মিশে আছে ব্যথাও। পরিযায়ী শ্রমিকদের ব্যথা। গানের লাইনটি হল-- 'বেকার মেঘেরা চলল দূর/ শরৎ-আকাশে ব্যথার সুর'। এই গানের বাণীর মধ্যে দিয়েই দেখা চেষ্টা হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকের জীবনকে।


লকডাউনের ফলে পরিযায়ী শ্রমিকেরা যে মুহুর্তে বেকার হয়ে পড়লেন, ঠিক সেই মুহূর্তেই ব্যর্থ হয়ে পড়ল শরতের মেঘও। কেননা সেই মেঘও তো তখন বেকার হয়ে পড়ল, চিরকালের মতো আনন্দ জাগাতে পারল না এ বার। এই থিম-ভাবনাকেই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মণ্ডপে।


কী ভাবে?


মণ্ডপে গোটাটাই শুধু রাশি রাশি ছোট-বড় পেঁজা তুলোর মতো ভাসমান মেঘ। সে-মেঘ বড় একলা। তবে এই ব্যাখ্যা এ ভাবে লিখতে যত সোজা, ফুটিয়ে তোলা ঠিক ততটাই কঠিন। আর সেই কঠিন কাজটাই করছেন শিল্পী ভবতোষ সুতার।



রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর পুজোয় এ বার নজিরবিহীন করোনা সতর্কতা। মণ্ডপে ঢোকার প্রয়োজন নেই। গোটা মণ্ডপই খোলা থাকছে। প্রতিমার কৌণিক অবস্থান এমন যে, দর্শনার্থীরা যেদিক দিয়েই আসুন না কেন, মূল মণ্ডপে প্রবেশ না করেই তাঁরা প্রতিমা দেখতে পাবেন। তার আগে তাঁদের চোখে পড়বে একটি ব্রেক-ডাউন হয়ে পড়ে থাকা ম্যাটাডর। যা পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর চেষ্টা করতে গিয়েও ব্যর্থ।


আরও পড়ুন: চেতলায় মাতৃমূর্তির চোখ আঁকলেন মুখ্যমন্ত্রী