পার্কসার্কাস: বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সিপিআইএমের প্রাক্তন পুলিটবুরো সদস্য। 'ব্র্যান্ড বুদ্ধ'ই একসময় গোটা রাজ্যের মুখ ছিল। এখানেই শেষ নয় বুদ্ধদেবের পরিচয়ে যে তথ্য না দিলেই নয়, উনি কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ভাইপো। বরাবরই সংস্কৃতি প্রিয় মানুষ। গ্যাব্রেল গার্সিয়া মার্কেজের লেখাপত্র থেকে মায়াকভস্কির কবিতা, বাড়ির পাঠশালায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সব থেকে প্রিয় এনাদেরই সাহিত্য। রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি দফতরের মন্ত্রী, জ্যোতি বসুর আমলে উপ-মুখ্যমন্ত্রী থেকে রাজ্যের এক নম্বর, এই জার্নিতে তিনি কখনও যেটা করেননি সেটাই বোধহয় করলেন আজ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জোট রাজনীতিতে সায় ছিল প্রথম থেকেই। তৃণমূলকে হারাতে মরিয়া বামকে হাত ধরতে হবে হাতের (কংগ্রেস)-একথা আত্মস্থ করেছিলেন বহু আগেই। আর সেই মতই রণনীতি। যখন দিল্লি থেকে সীতারাম ইয়েচুরি এসে এক মঞ্চে কংগ্রেসের সঙ্গে সভায় বিড়ম্বনার সম্মুখীন তখন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য একেবারে 'স্ট্রেট ফরোয়ার্ড'। কংগ্রেসের পতাকায় আদ্য প্রান্ত মোড়া সভা মঞ্চে বক্তা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। যিনি সারাজীবন বক্তব্য মঞ্চে হোক, মিটিংয়ে হোক বক্তব্য রাখার সময় 'কমরেড' শব্দ দিয়ে কথা বলা শুরু করেন, তিনি একবারও 'কমরেড' কথা মুখেই আনলেন না।


২০১৪ লোকসভায় অ-বিজেপি অ-কংগ্রেসি সরকার গঠনের ডাক দিয়েছিলেন যে বুদ্ধ তিনিই সভামঞ্চে বক্তব্য শুরু করলেন 'প্রিয় রাহুল' বলে। শেষে 'লাল সেলাম'ও নেই। শুধুই অভিনন্দন।


কথা বলার শুরুতেই কয়েক সেকেন্ড থমকে দাঁড়ান বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তারপর বক্তব্য রাখতে রাখতেই অবলীলায় বললেন, "আমি রাহুলের সভায় এসেছি"। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ছোট ছোট কথায় একসময় প্রায়ই কংগ্রেসের আগ্রাসন, সাম্রাজ্যবাদ, বুর্জোয়া শব্দের প্রাচুর্য দেখা যেত। পার্কসার্কাস ময়দানে কংগ্রেসের হেভিওয়েটদের পাশে বুদ্ধ যেন নিজের নিয়ম নিজেই ভাঙলেন। অবশ্য বাম রাজনীতির আদর্শগত লাইনেই একথা শিশু পাঠ্যের মত, 'নিয়ম মেনেই নিয়ম ভাঙো'।