পার্কসার্কাস: মাইকের সামনে বক্তা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। দোভাষীর কাজ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্বল্প সময়ের বক্তব্য যা আগা-গোড়াই ছিল বাংলায়, তা কংগ্রেস হাইকম্যান্ড রাহুল গান্ধীকে বুঝিয়ে দিলেন অধীর রঞ্জন। বক্তব্য রাখার সময় চিরাচরিত ভঙ্গিতেই বক্তব্য রাখছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বাংলায় তেমন একটা পণ্ডিত নন রাহুল গান্ধী, কিন্তু প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কথা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ, তাই প্রদেশ সভাপতিকে কানে কানে বললেন, ইন্টারপ্রিট করতে। অধীর রঞ্জনও সেনাপতির কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করলেন। মমতা-মোদীকে নিশানা থেকে রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি সবটা বুঝে নিয়ে বুদ্ধদেবের সুরেই সুর মেলালেন রাহুল।    


ভোটের পঞ্চম দফা শেষ। আর বাকি দুই। ষষ্ঠ দফাই ভোটের 'ভাইটাল ফ্যাক্টর', মানছে সব পক্ষই। দক্ষিণ কলকাতা সহ দক্ষিণ ২৪ পরগণার আসন নিয়েই ভোটের অঙ্ক ও তার গণনা শুরু করেছে দুই পক্ষ। আর তাই ষষ্ঠ দফার আগেই ভোট প্রচারে কংগ্রেস হাই কম্যান্ড। রাহুল গান্ধীর সভা দক্ষিণ কলকাতার পার্কসার্কা ময়দানে। রাহুলের সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত সিপিএমের থিংক ট্যাঙ্ক তথা রাজ্যের একদা মুখ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। মঞ্চে ছিলেন আরও অনেকে, তাঁদের মধ্যে অবশ্যই উল্লেখ্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। কলকাতায় বাংলা ভাষায় বক্তাদের কদর সব সময়ই বেশি। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য রাজ্যের স্টার বক্তাদের মধ্যে একজন। আর তিনি বাংলা ছাড়া অন্য ভাষাকে প্রাধান্য দেন না। রাজ্যের শিল্প পরিস্থিতি, তৃণমূলের সিন্ডিকেট রাজ আর ভয় না পেয়ে রুখে দেওয়ার ডাক, 'কাট টু কাট' কথায় হাততালি দিচ্ছে আমজনতা। মাঝে নিয়ে এলেন, 'চিত্ত যেথা ভয় শূন্য', রবি ঠাকুরের কবিতার প্রসঙ্গ টেনেই রাহুল নিজের ভাষণেও উল্লেখ করলেন, "বেঙ্গল কে বারেমে বাত করু তো টেগর জি কি বাত আ যাতা হে"।