ওয়েব ডেস্ক : একদিকে আলো। অন্যদিকে আবছায়া। সিঙ্গুর দিবসের মঞ্চে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন নীরবেই আলিমুদ্দিনে ঢুকে গেলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। প্রাক্তন মুখ না খুললেও তাঁর সতীর্থরা এখনও আশাবাদী। আশা, সিঙ্গুর নিয়ে শেষ কথা বলার সময় এখনও আসেনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একজন বর্তমান। অন্যজন প্রাক্তন। একজন উঠছেন বিজয়ের মঞ্চে। অন্যজন ক্যামেরার আড়ালে পার্টি অফিসের চার দেওয়ালে। একদিকে বাঁধন ছাড়া উচ্ছ্বাস। অন্যদিকে না পারার যন্ত্রণা। সিঙ্গুরের সানাপাড়া আর কলকাতার আলিমুদ্দিন। সিঙ্গুর যদি মমতার হয় তবে সিঙ্গুর বুদ্ধদেবেরও। বহুফসলি জমিতে গাড়ি কারখানা। আর তাকে ঘিরেই নিজেদের রাজনৈতিক জীবন বাজি রেখেছিলেন দুজনই। একজন ব্যর্থ। অন্যজন অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফিরিয়ে লিখে ফেললেন কৃষক বিদ্রোহের অন্য আখ্যান।


রাজনৈতিক মহলের অনেকেই বলে থাকেন সিঙ্গুর হল সিপিএমের ওয়াটারলু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজয় দিবসের দিন আলিমুদ্দিনের নেতারা কিন্তু একে সর্বনাশের সূচনা বলছেন। পরপর দুই বিধানসভা ভোটে বিপুল পরাজয়। অন্য নির্বাচনেও একই হাল। জমির লড়াই কেড়ে নিয়েছে বামেদের পায়ের নিচের জমি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শিল্পতাড়ুয়ার তকমা দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন সিপিএম নেতারা। সিঙ্গুর দিবসের দিন তাঁরা সুদিন ফেরার আশায় ধরে খেলার কথা বলছেন।


সিঙ্গুরে মমতাকে ঘিরে যখন উচ্ছ্বাস, তখন আলিমুদ্দিনের গাড়ি বারান্দায়  আলোর বড় অভাব। অন্য নেতারা সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুললেও নীরবেই পার্টি অফিসে নিজের ঘরে ঢুকে গেলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ওয়াটারলুর পর এটাই কি সেন্ট হেলেনা? উত্তর ভবিষ্যতের গর্ভে।