নিজস্ব প্রতিবেদন : হাসপাতাল থেকে ছুটি পেলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তিনি অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়ি ফিরতে চান না, জানিয়েছিলেন পরিজনদের। তাই সকাল থেকেই হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষা করতে দেখা গিয়েছে বুলেটপ্রুফ গাড়ি। তবে শেষমেশ অ্যাম্বুল্যান্সে করেই পাম অ্যাভিনিউর বাড়িতে ফিরলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ৩ দিন পর বাড়ি ফিরলেন বুদ্ধবাবু। আরও কিছুদিন তাঁকে হাসপাতালে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু, শেষমেশ বুদ্ধবাবুর নাছোড় জেদের কাছে হার মানেন চিকিৎসকরা। অ্যাম্বুলেন্সে শোওয়া অবস্থায় কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


হাসপাতাল বরাবরই তাঁর না-পসন্দ। বুদ্ধবাবুর চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা তাঁর বাসভবনেই করা হয়েছিল। শুক্রবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু,খানিকটা সুস্থ হতেই বাড়ি যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে ওঠেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁকে বোঝাতে হিমশিম খায় সিপিআইএম নেতৃত্ব। রবিবার বিমান বসু হাসপাতালে দেখতে যান বুদ্ধবাবুকে। বিমানবাবুকে দেখেই ফের বাড়ি ফেরার জন্য আবদার জানান বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। কোনওমতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে হাসপাতাল ছাড়েন বিমান বসু। কটা দিন ডাক্তাদের কথা শুনে চলতে বলেন সতীর্থকে। কিন্তু মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শ কার্যত উপেক্ষা করে আজই হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।


শুক্রবার সন্ধেয় প্রবল শ্বাসকষ্ট সমস্যা নিয়ে আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। তাঁর শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ অনেকটা কমে গিয়েছিল। আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে খবর, সন্ধে ৭.৩২ মিনিট নাগাদ তাদের কাছে ফোন আসে। ফোনে বলা হয়, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর রক্তচাপ কমে গিয়েছে। শ্বাসকষ্ট হচ্ছে তাঁর। হারিয়ে ফেলেছেন সংজ্ঞা। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালের আইসিসিইউ তৈরি রাখা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর বাইপ্যাপ পদ্ধতির মাধ্যমে শুরু হয় বুদ্ধবাবুর চিকিৎসা। রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম থাকায় এই কদিনে তাঁকে বেশ কয়েকবার রক্ত দেওয়া হয়।


আরও পড়ুন, ওর মতো সৎ মানুষ থাকুক, বুদ্ধবাবুকে দেখে বেরিয়ে বললেন শুভাপ্রসন্ন


বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। সোমবার সকাল থেকেই একটানা ঘুমোচ্ছিলেন বুদ্ধবাবু। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, তাঁর নিউমোনিয়ার সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তবে এখনও তাঁকে দেওয়া হচ্ছে বাইপ্যাপ। অ্যান্টিবায়োটিকও চলবে বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকরা।  নিয়ন্ত্রণে রয়েছে রক্তচাপও। তবে তাঁকে আরও তিন দিন হাসপাতালেই পর্যবেক্ষণে রাখতে চাইছিলেন চিকিত্সকরা। কিন্তু রাজ হননি বুদ্ধবাবু। পাম অ্যাভিনিউর ফ্ল্যাট  তাঁর প্রিয় জায়গা। সেই ঘরেই তাঁর চিকিৎসার সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে।