By-Poll: নন্দীগ্রামে যেভাবে চেপে ধরেছিল গলাটা কেটে যেত, ভাগ্য ভাল মারা যাইনি: Mamata
সিপিএমের বিরুদ্ধে দীর্ঘ আন্দোলনের কথাও উল্লেখ করেছেন তৃণমূল নেত্রী (TMC Supremo)।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রচারে চেতলার সভায় স্মৃতিমেদুর মমতা (Mamata Banerjee)। ফিরে গেলেন তাঁর অতীত-আন্দোলন আখ্যানে। একইসঙ্গে অভিযোগ করলেন, নন্দীগ্রামে তাঁকে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল।
মমতা (Mamata Banerjee) বলেন,''আমার জীবনে অনেক আন্দোলন করেছি। লকআপে মৃত্যু হত আগে। ২১ দিন আন্দোলন করেছিলাম। সব বইয়ে লিখেছি। ১০৫টা বই প্রকাশিত হয়েছে। জানবার জন্য বলছি। ১৯৯৩ সালে আমার ধর্নার পর তৈরি হয়েছিল মানবাধিকার কমিশন। লক আপে মৃত্যু হয়ে পরিবারের লোক ক্ষতিপূরণ পায় এখন। এটা আমার আন্দোলনের জন্য। সিঙ্গুর আন্দোলনের জন্য ১৬ দিন আমরণ অনশন করেছি। বাঁচার কথা ছিল না। আমার দু'টো অপারেশন হয়েছে।''
সিপিএমের সঙ্গে দীর্ঘ আন্দোলনের কথাও উল্লেখ করেছেন তৃণমূল নেত্রী (TMC Supremo)। তাঁর কথায়,''অনেকে জানেন না, হাজরায় মেরে ক্ষান্ত হয়নি। ৩০ বছর সিপিএমের সঙ্গে লড়াই করেছি। মাথায় মেরেছে। অপারেশন হয়েছে আমার। গার্ডেনরিচে গুলি করে হত্যা করতে চেয়েছিল। একটি ছেলে হাত তুলেছিল বলে গুলিটা তাঁর হাত দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। আমার মাথাটা বাঁচে। আমার চোখ দুটো কাঁচ ঢুকে প্রায় নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। একুশে জুলাই যখন মারল আমার শরীর থেকে দু'টো পার্ট বাদ হয়ে গিয়েছিল। আমি কখনও আপনাদের জানতে দিইনি। পরপর মার খেয়েছি। পা থেকে কোমর,হাত- এমন কোনও জায়গা নেই। জীবন্ত লাশ বলতে পারেন।''
নন্দীগ্রামে তাঁকে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন মমতা (Mamata Banerjee)। তাঁর কথায়,''যে দিন মনোনয়ন জমা দিলাম পা-টা বারোটা বাজিয়ে দিল। এত বড় চোট লাগল, ডাক্তাররা বলেছিল আপনি বেরোতে পারবেন না। পুলিস কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞ। হুইলচেয়ার করে দেড়মাস ঘুরে বেরিয়েছি। মিটিং করেছি। আসল ছবি দেখালে কাঁতরে উঠবেন। গোড়ালিটা চেপে দিয়েছিল। ভাগ্য ভালো মারা যাইনি! নন্দীগ্রামে দরজাটা যেভাবে চেপে ধরেছিল গলাটা কাটা যেত। পা-টা ঠিক হয়নি কিন্তু জেদে চলি আমি। সিপিএমের অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। নরেন্দ্র মোদীরা যখন থেকে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। কতটা দানবিক পার্টি কল্পনা করতে পারবেন না!''
আরও পড়ুন- By-Poll: একটা ভোট না পেলে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারব না, খিদিরপুরে বার্তা Mamata-র