নিজস্ব প্রতিবেদন:  ঘুর্ণিঝড় এসেছিল মাস পাঁচেক আগে। সেই ঝড়ের রেশ রয়ে গিয়েছে এখনও। আমফান ত্রাণে দুর্নীতি নিয়ে এবার CAG-এর রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। তিন মাসের মধ্যে তদন্ত করে আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণণের ডিভিশন বেঞ্চ। রিপোর্টে কী থাকবে? হাইকোর্টের নির্দেশ, কোথায় কার মাধ্যমে ত্রাণের টাকা বিলি করা হয়েছে, বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করতে হবে। যদি দুর্নীতি হয়ে থাকে,তাহলে জানাতে হবে অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিকদের নামও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: সারদা মামলায় নয়া ভয়েস রেকর্ডিং, জেলে গিয়ে সুদীপ্ত-দেবযানীকে জেরার সিদ্ধান্ত CBI-এর


চলতি মাসের মে মাসে রাজ্যে আছড়ে পড়ে ঘুর্ণিঝড় আমফান। ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ছিল দুই চব্বিশ পরগণা ও পূর্ব মেদিনীপুরে। ঘুর্ণিঝড়ের ভয়াল রূপে কেঁপে ওঠেছিলেন কলকাতার বাসিন্দারা। শহরেও ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ কোনও অংশে কম ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে আকাশ পথে ঝড়ে বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুর্গতদের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেই টাকা গেল কোথায়? ত্রাণ বন্টনে রাজ্যের সর্বত্রই তৃণমূল নেতা-কর্মীদের দুর্নীতির ভূরি ভুরি অভিযোগ ওঠে। জেলায় জেলায় শুরু হয় বিক্ষোভ। পরিস্থিতির চাপে পড়ে পদক্ষেপ করতে কার্যত বাধ্য হয় সরকার। শোকজ  কিংবা বহিষ্কার করা হয় শ'খানেক তৃণমূল নেতা-পঞ্চায়েত-প্রধানকে।


আরও পড়ুন: শহরে 'দুয়ারে সরকার' প্রকল্পে প্রথম স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেলেন মমতা ব্যানার্জী!


এদিকে আবার আমফানের ত্রাণ বন্টনে দুর্নীতির অভিযোগে বেশ কয়েকটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীদের অভিযোগ, ঝড়ে ক্ষতি হয়েছে চাষের জমি, ঘরবাড়ি হারিয়েছেন বহু মানুষ। কিন্তু প্রশাসনের কাছে আবেদন করেও ত্রাণ মেলেনি। এমনকী, অনেক জায়গায় ত্রাণ চাইতে গিয়ে পুলিশি হেনস্থার শিকারও হয়েছেন দুর্গতরা। সেই মামলাগুলির প্রেক্ষিতে এবার আমফানের ত্রাণ বন্টনে CAG-র রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট।