নিজস্ব প্রতিবেদন: আমফান ত্রাণে দুর্নীতি মামলায় ফের হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। মামলার আগের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত সাফ জানিয়েছে, এই মামলায় রাজ্যকে যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে। আর সময় দেওয়া সম্ভব নয়। তবে প্রয়োজনে উচ্চ আদালতে মামলা করা যেতে পারে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: চাকরি দেওয়ার নাম করে শ্লীলতাহানির অভিযোগ! যাদবপুর থেকে গ্রেফতার দুই যুবক


উল্লেখ্য,  চলতি বছরের মে মাসে ঘুর্ণিঝড় আমফানের দাপটে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্য। বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয় কলকাতায়। ঝড়ে গাছ পড়ে বিদ্যুৎহীন হয়ে যায় শহরের বহু এলাকা। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ছিল দুই চব্বিশ পরগণা ও পূর্ব মেদিনীপুরে। দুর্গতদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ঘটনা হল, সেই ত্রাণ বিলি নিয়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মী, পঞ্চায়েত প্রধানদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতির চাপে পড়ে পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয় রাজ্যের শাসকদল। শোকজ কিংবা বহিষ্কার করা হয় শ"খানেক তৃণমূল নেতা ও পঞ্চায়েত প্রধানকে। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না।


আরও পড়ুন: রোজগার বন্ধ, অবসাদে ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু বৃদ্ধের


জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে শুক্রবার আমফান ত্রাণে দুর্নীতি অভিযোগ নিয়ে CAG-র রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চ। কোথায় কার মাধ্যমে ত্রাণ বিলি করা হয়েছে, যদি দুর্নীতি হয়ে থাকে,তাহলে অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিকদের নাম উল্লেখ করে তিনমাসের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। হাইকোর্টের কাছে এই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বা এডিজি কিশোর দত্ত। সেই আর্জি খারিজ করে আগের রায়ই বহাল রাখল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।