Defamation Case: রাজ্যপাল সম্পর্কে যে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী: হাইকোর্ট
Calcutta High Court Division Bench order on defamation case: মানুষের বাকস্বাধীনতা খর্ব করা যায় না। যদিও এই বাকস্বাধীনতার কিছু কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। সত্য প্রকাশের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী বা উচ্চপদে থাকা ব্যক্তিদের অনেক বেশি দ্বায়িত্বশীল থাকতে হয়।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজ্যপালের মানহানি মামলা। সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় খারিজ ডিভিশন বেঞ্চের। রাজ্যপাল সম্পর্কে যে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী সহ ৪ তৃণমূল নেতা। নির্দেশে জানাল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। যদিও মন্তব্য করার সময় মনে রাখতে হবে সেটা যেন মানহানির যে সংজ্ঞা আছে বা মানহানি সম্পর্কিত যে আইন আছে তাকে লঙ্ঘন না করে। নির্দেশ বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের।
ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের পর এদিন মামলা ফের ফেরত গেল সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের এজলাসে। হলফনামা আদান প্রদানের পরে নতুন করে শুনানি করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সিঙ্গেল বেঞ্চ। উল্লেখ্য, ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও সম্মানহানির মন্তব্য করতে পারবেন না মুখ্যমন্ত্রী সহ মোট ৪ তৃণমূল নেতা। এই মর্মে অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেন বিচারপতি কৃষ্ণা রাও। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন মুখ্যমন্ত্রী সহ মোট ৪ তৃণমূল নেতা। এদিন আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানায়, একজন মানুষের মর্যাদা অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং পবিত্র বিষয়। সেটাকে রক্ষা করার জন্য আইনে সংস্থান রয়েছে। আবার মানুষের বাকস্বাধীনতা খর্ব করা যায় না। যদিও এই বাকস্বাধীনতার কিছু কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। একইসঙ্গে সত্যি জানার অধিকার সবার আছে। যদিও এই সত্য প্রকাশের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী বা উচ্চপদে থাকা ব্যক্তিদের অনেক বেশি দ্বায়িত্বশীল থাকতে হয়।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়ের করেছেন রাজ্যপাল। সম্মানহানি প্রমাণিত হলে ১১ কোটি টাকা দেওয়ার আবেদনও জানিয়েছেন রাজ্যপালে। এমনকি, ১১ কোটির পাশাপাশি কোর্ট ফি বাবদ ৫০ হাজার টাকাও দেওয়ার আবেদন করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কিন্তু কেন এই মানহানির মামলা? রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছেন রাজভবনেরই এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী। সঙ্গে দিল্লিতে এক নৃত্যশিল্পীকে ধর্ষণেরও অভিযোগও সামনে আসে। এরপর বরানগর ও ভগবানগোলা উপনির্বাচনে জয়ী দুই তৃণমূল প্রার্থীর শপথকে ঘিরে যখন জটিলতা তৈরি হয়, তখন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'রাজভবনে যা চলছে মেয়েরা শপথ নিতে যেতে ভয় পাচ্ছে। রাজ্যপাল কেন বিধানসভায় এসে শপথ নেওয়াবেন না? কেন স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকারকে দায়িত্ব দেবেন না?' সেই মন্তব্যের জেরেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামহানির মামলা করেন রাজ্য়পাল।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)