নিজস্ব প্রতিবেদন: জগদ্ধাত্রী পুজোতে নাইট কার্ফু থাকছে না। ফলে রাতভর ঠাকুর দেখতে পারবেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু কোভিড আবহে কীভাবে হবে বিসর্জন? কৃষ্ণনগরে চিরাচরিত ঐতিহ্য মেনে সাং বা শোভাযাত্রার অনুমতি দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। প্রতীকীভাবে নিয়ম মেনে ভাসানের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য বিখ্যাত চন্দননগর। তবে, কৃষ্ণনগরেও এই পুজোকে কেন্দ্র করে জাঁকজমক কিছু কম হয় না। চারদিন ধরে পুজো চলে সেখানেও।  বিসর্জনের আগে আবার দীর্ঘ ২ কিমি পথ বাঁশের মাচায় বসিয়ে প্রতিমাকে কাঁধে করে নিয়ে যাওয়া হয়। এই শোভাযাত্রাকে স্থানীয়রা বলেন 'সাং'। কোভিড কারণে গত বছর এই রীতিতে ছেদ পড়েছিল। এবছর কী হবে? কোভিডের কারণ দেখিয়ে অনুমতি বাতিল করে দেয় প্রশাসন। পুজো কমিটিগুলির আপত্তিই তো ছিলই,  কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্য রক্ষা দাবিতে পথে নামেন সাধারণ মানুষ। গভীর রাত পর্যন্ত রীতিমতো টায়ার জ্বালিয়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। সেই অবরোধে আটকে পড়ে অ্যাম্বুল্যান্সে বছর সাতেক এক শিশু মারা যায় বলে অভিযোগ।


আরও পড়ুন: তৃতীয় ঢেউয়ের আতঙ্ক! আগেভাগে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার


এদিকে আবার জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয় হাইকোর্টে। সেই মামলার প্রক্ষিতেই আদালতের নির্দেশ, শোভাযাত্রা বা সাং নয়, জগদ্ধাত্রী পুজোয় প্রতীকীভাবে নিয়ম মেনেই প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে। কেন? চন্দননগর বা কৃষ্ণনগরে শোভাযাত্রায় যে বিপুল জনসমাগম হয়, তা ভয়ঙ্কর। করোনা বিধি মানতে গেলে এই ধরনের শোভাযাত্রার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। এবছর কোভিড মেনে দুর্গাপুজো হয়েছে। কালীপুজোতেও মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল হাইকোর্টে। আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ দিল, ভ্যাকসিনে দুটি  ডোজ নেওয়া থাকলেই অবাধে মণ্ডপে প্রবেশ করা যাবে না। বরং ভিড় নিয়ন্ত্রণে সবরকম ব্যবস্থা নিতে হবে উদ্যোক্তাদের।


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)