Primary TET: টেটে `অনুত্তীর্ণ`দেরও নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিল হাইকোর্ট!
এরা গড়ে ৫৪.৬৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। এখন নিয়ম অনুসারে ৫৪.৬৭ কে ৫৫ নম্বর হিসাবে গণ্য করতে হবে। আর ৫৫ পেলেই এরা যোগ্য প্রার্থী হিসাবে মান্যতা পাবেন।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: টেটের 'অনুত্তীর্ণ' প্রার্থীদের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৪ ও ২০১৭, দুই টেটেই 'অনুত্তীর্ণ' প্রার্থীদের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৪-র ৫ জন 'অনুত্তীর্ণ' চাকরিপ্রার্থীকে সুযোগ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। অন্যদিকে, ২০১৭ টেটের ১৬ জন 'অনুত্তীর্ণ' চাকরিপ্রার্থীকে সুযোগ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
এই ৫ ও ১৬, মোট ২১ জন ২০২২-এর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার জন্য ফর্ম পূরণ করার অনুমতি দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মামলাকারীদের দাবি, টেটে এই প্রার্থীরা ১৫০-এর মধ্যে ৮২ নম্বর পেয়েছে। ফলে এরা গড়ে ৫৪.৬৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। এখন নিয়ম অনুসারে ৫৪.৬৭ কে ৫৫ নম্বর হিসাবে গণ্য করতে হবে। আর ৫৫ পেলেই এরা যোগ্য প্রার্থী হিসাবে মান্যতা পাবেন। মামলাকারীদের আরও দাবি, ২০১৭ সালের প্রশ্নেও ৮টি প্রশ্ন ভুল ছিল, যা নিয়ে মামলা বিচারাধীন। ফলে প্রার্থীদের নম্বর আরও বাড়তেই পারে।
প্রসঙ্গত, শূন্য়পদের সংখ্যা এগারো হাজারেরও বেশি। রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পর্ষদ। অনলাইনে যখন আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে, তখন হাইকোর্টে মামলা করেছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। কেন? পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি জানানো হয়েছে, ২০১৪ ও ২০১৭ সালে যাঁরা টেট পাস করেছেন এবং যাঁদের বয়স চল্লিশের নিচে, তাঁরা প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন। মামলাকারীদের দাবি, ২০১৪ ও ২০১৭ সালে টেট পরীক্ষা দিয়েছিলেন তাঁরা। পাস করেছেন দু'বারই। যে বছর টেটে বেশি নম্বর পেয়েছেন, সে বছরের শংসাপত্রই জমা দিতে চান। কিন্তু এখনও টেটের নম্বর জানায়নি পর্ষদ। যদিও হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে শেষে অচলাবস্থা কেটেছে। '২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের নম্বর প্রকাশ করবে পর্ষদ', জানিয়েছেন মামলাকারীদের আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন, Primary TET: ২১ কোটির তোলাবাজি, লোক পাঠিয়ে টাকা তুলতেন মানিক! বিস্ফোরক তাপস
এর আগে, চাকরির দাবিতে সল্টলেক করুণাময়ীতে অনশনে বসেছিলেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্থরা। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল অবশ্য স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, '২০১৬ সালের নীতি মেনেই নিয়োগ হবে। যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা দু'বার ইন্টারভিউ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। আইন ভেঙে নিয়োগ সম্ভব নয়'। শেষপর্যন্ত করুণাময়ীতে থেকে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিস। এখন ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তি পাদদেশে ধরনা দিচ্ছেন তাঁরা।