Suvendu Adhikari: মালদহে সভায় `না`, হাইকোর্টেও ধাক্কা খেলেন শুভেন্দু...
`আদালত যা বলবেন, তার বাইরে তো আর কারও কিছু করার নেই`, বললেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: হাইকোর্টেও ধাক্কা খেলেন শুভেন্দু অধিকারী। মালদহে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে সভা করার অনুমতি দিল না আদালত। কেন? বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর পর্যবেক্ষণ, '১৫ দিন আগে সভার অনুমতি চাওয়া হয়নি'।
ঘটনাটি ঠিক কী? ২৭ মে মালদহের হবিবপুরের হাই স্কুল মাঠে সভা করার পরিকল্পনা করেছিল বিজেপি। প্রধান বক্তা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সেই সভার অনুমতি দেয়নি পুলিস। জেলার পুলিসের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়, কোনও সভা করতে গেলে, ১৫ দিন আগে অনুমতি চেয়ে আবেদন করতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি। এরপরই মামলা গড়ায় হাইকোর্টে।
মালদহে সভার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করে শুভেন্দু। তাঁর দাবি, অনলাইনে সুযোগ না থাকার কারণেই ১৫ দিন আগে সভার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা যায়নি। এদিন মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর এজলাসে। শুনানির শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন তিনি। শেষপর্যন্ত শুভেন্দুর আবেদন খারিজ হয়ে গেল।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: একদিনের সফরে এগরায় মুখ্যমন্ত্রী, যোগ দেবেন 'নবজোয়ারে'ও
কী প্রতিক্রিয়া বিজেপির? দলের নেতা রাহুল সিনহা বলেন, 'আদালত যা বলবেন, তার বাইরে তো আর কারও কিছু করার নেই। আমরা তো তৃণমূল কংগ্রেস নই, যে পছন্দমতো রায় না হলেই আদালতের বিরুদ্ধাচারণ করা, বিচারপতিকে অবমাননা করা, বিচারপতির বিরুদ্ধে পোস্টার লাগানো. এইসব নোংরা কাজ বিজেপি কখনও করেনি। আমরা আদালতকে সম্মান করি, শ্রদ্ধা করি। আদালত যখন মিটিং-মিছিলের অনুমতি দেয়নি,তখন পছন্দ হোক বা না হোক, সেই নির্দেশকে শিরোধার্য করতেই হবে'।
এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে জনসংযোগ যাত্রায় অভিষেক। জাতীয় সড়কে আটকে মিছিলের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছেন শুভেন্দু। জুনে মামলাটি শুনানি হবে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে।