Amit Shah: কলকাতায় অমিত শাহের সভায় `না` পুলিসের, কী নির্দেশ হাইকোর্টের?
`আবেদনের পর দু`সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। কেন একটা উত্তর দিতে পারছে না? একটা ফ্রি কান্ট্রি, যে কেউ যেখানে খুশি যেতে পারে`। পর্যবেক্ষণ বিচারপতি রাজাশেখর মান্তারের।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: ধর্মতলায় তৃণমূলের একুশের জুলাই সভাস্থলে এবার সভা করবেন অমিত শাহ! কীভাবে? পুলিসকে সভার অনুমতি দেওয়ার জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্তার পর্যবেক্ষণ, 'আবেদনের পর সিদ্ধান্ত নিতে দু'সপ্তাহ যথেষ্ট'।
আরও পড়ুন: PM Awas Yojana: তিন জেলায় প্রকল্পে অসঙ্গতি! রাজ্যকে আবাস যোজনার বরাদ্দ নিয়ে চিঠি কেন্দ্রের
প্রতিবছর ২১ জুলাই শহিদ দিবস পালন করে তৃণমূল। সভা হয় শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলায় সিএসইসি-র অফিস ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনেই। সেই একই জায়গায় সভা করতে চায় বিজেপিও। শুধু তাই নয়, সেই সভায় উপস্থিত থাকতে পারেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু পুলিস সভার অনুমতি দেয়নি বলে অভিযোগ। মামলা গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।
এদিন মামলা শুনানি হয় বিচারপতি রাজাশেখর মান্তার এজলাসে। বিচারপতি বলেন, 'আবেদনের পর দু'সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। কেন একটা উত্তর দিতে পারছে না? একটা ফ্রি কান্ট্রি, যে কেউ যেখানে খুশি যেতে পারে'। রাজ্যের পাল্টা সওয়াল, '৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হোক বিবেচনার জন্য। যদি তারপরেও অনুমতি বা পায়, কোর্টের পথ খোলা'।
হাইকোর্টের নির্দেশ, 'কী শর্ত দেবে সেটা পুলিশ ঠিক করুক। আবেদনের পর সিদ্ধান্ত নিতে দু'সপ্তাহ যথেষ্ট। বুধবারের মধ্য়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে'। সেদিনই মামলা পরবর্তী শুনানি।
বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'আদালতের অনুমতি নিয়ে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলকে মিটিং-মিছিল করতে হচ্ছে। কিন্তু তৃণমূলের তরফে আদালতে এসে অনুমতি নিতে হয়েছে, রাজ্যের আইনজীবী এমন উদাহরণ দেখাতে পারেননি। এর প্রেক্ষিতে মাননীয়া বিচারপতি রাজাশেখর মান্তা উল্লেখ করেছেন, গণতন্ত্রে সমস্ত রাজনৈতিক দলের জন্য সমব্যবস্থা থাকা উচিত। সেই সমব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের একুশে জুলাই যেখানে সমাবেশ হয়, সেখানেই আমাদের সমাবেশের জন্য আমাদের অনুমতি দিয়েছেন এবং নির্দিষ্ট শর্তের ব্যাপারে আমরা খোলা মন নিয়ে সেটা দেখছি'।
জগন্নাথের দাবি, 'পুলিস একুশে জুলাইয়ের জন্য যা যা বিধিনিষেধ দেয়, আমরা সমস্ত বিধি নিষেধ মেনে ২৯ তারিখে লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশ ওখানে করব। মাননীয়া গৃহমন্ত্রীর কথা শোনার জন্য সারা পশ্চিমবঙ্গ থেকে বঞ্চিত মানুষেরা আসবেন'।
তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের পাল্টা কটাক্ষ, '১ লক্ষে ক'টা শূন্য বসে বিজেপি জানে! যারা সমস্ত বুথে পঞ্চায়েতে প্রার্থী দিতে পারে না, বুথে এজেন্ট নেই। মন্ত্রী করার লোভ দেখিয়ে,বাড়ি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে, টাকা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে, মিটিংয়ে লোক ভরতে হয়। তাও ৭০ শতাংশ আসন খালি থাকে। তারা বলছে লক্ষাধিক সমাগম করবে'!
তাঁর আরও বক্তব্য, 'মাথায় রাখতে হবে, আইনে উর্ধ্বে, নিয়মের উর্ধ্বে কেউ নয়। কোনও একটি নির্দিষ্ট জায়গায় সভা-সমিতি করতে গিয়ে, প্রশাসনের যদি মনে হয়, কোনও অসুবিধা আছে। প্রশাসন তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে অনুমতি না দিতে পারে, এখানে কোনও রাজনীতির গন্ধ খোঁজা ঠিক নয়। তৃণমূল প্রশাসন কোনও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা করে না'।
আরও পড়ুন: World Cup 2023: টিম ইন্ডিয়াকে বিশ্বকাপে সামলে রেখেছিল কলকাতার এই হাসপাতাল!
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)