নিজস্ব প্রতিবেদন: দুর্গাপুজোর পর এবার কালীপুজোর মণ্ডপেও দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা। বাদ গেল না জগদ্ধাত্রী পুজো, এমনকী কার্তিক পুজোও। কলকাতা হাইকোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ, ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়া থাকলেই মণ্ডপে অবাধে প্রবেশ করা যাবে না। বরং ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য জরুরি সবরকম পদক্ষেপ করতে হবে উদ্যোক্তাদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কোভিড বিধি মেনে এবার দুর্গাপুজোর অনুমতি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। মণ্ডপে নো এন্ট্রি' বহাল রাখার কথাও জানানো হয়েছিল আদালতে। পুজো মণ্ডপে শর্তসাপেক্ষে সিঁদুর খেলা, আরতি, অঞ্জলি -সহ সব আচার পালনের অনুমতি দিয়েছিল হাইকোর্ট। নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, বড় ক্লাবের ক্ষেত্রে ৫০-৬০ জন নথিভুক্ত  সদস্য  এবং ছোট ক্লাবের ক্ষেত্রে ১০-১৫ জন এই আচার পালন করতে পারবে। তবে, প্রত্যেককে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজই নিতেই হবে। শেষপর্যন্ত কিন্তু ভিড় আটকানো যায়নি। পুজোর চারদিনে মানুষের ঢল নেমেছিল মণ্ডপে।


আরও পড়ুন: কলকাতা ও হাওড়ায় পুরভোটের সম্ভাবনা ১৯ ডিসেম্বর, রাজ্যের প্রস্তাবে সায় কমিশনের


এ রাজ্যে কালীপুজোও যথেষ্ট ধুমধাম করে আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন মণ্ডপে জড়ো হন বহু মানুষ। দীপাবলিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণের আর্জি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল হাইকোর্টে।  বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চে নির্দেশ, কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজোয় মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ভিড় রোখার জন্য সব রকম জরুরি পদক্ষেপ করতে হবে। ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়া থাকলেই মণ্ডপে অবাধে ঢোকা যাবে না। সাধারণ মানুষেরও কিছু দায়িত্ব থাকা উচিত। 


আরও পড়ুন: Noapara Metro: অবাধে লুঠ হচ্ছে নোয়াপাড়া মেট্রোর সামগ্রী, পুলিসের দ্বারস্থ আতঙ্কিত নির্মাণ সংস্থা


এদিন শুনানি পুজোর সময়ে নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথাও তুলে ধরেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তিনি বলেন, ‘শবরিমালা, জলিকাট্টু, দুর্গাপুজোর মতো উৎসবে মানুষকে আটকানো মুশকিল। দুর্গাপুজোয় স্বভূমির ‘বুর্জ খলিফা’ প্যান্ডেলের কারণে আমার অন্তত তিন জন সহকর্মীর গাড়ি দু’-তিন ঘণ্টার জন্য আটকে পড়েছিল। বেশ কয়েক বছর আগে দেশপ্রিয় পার্কেও এই ঘটনা ঘটেছিল'।


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)