নিজস্ব প্রতিবেদন: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে আপাতত হাজিরা দিতে হবে না শুল্ক দফতরের কাছে। সোমবার এই নির্দেশই দিল কলকাতা হাইকোর্টের আইপি মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশ, ৩১ জুলাই পর্যন্ত শুল্ক দফতরে হাজিরা দেওয়ার প্রয়োজন নেই অভিষেকের স্ত্রী রুজির নারুলার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


সম্প্রতি শুল্ক দফতরের তরফে ডেকে পাঠানো হয়েছিল অভিষেকের স্ত্রীকে। ৮ এপ্রিল তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। সেই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে মামলা করেন রুজিরা নারুলা।


সেই মামলার শুনানিতে তাঁকে শুল্ক দফতরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সঙ্গে জানিয়েছিল যে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন তিনি। সোমবার তার শুনানিতেই ৩১ জুলাই পর্যন্ত রুজিরা নারুলাকে শুল্ক দফতরে হাজিরা দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি ২০ জুন।


আরও পড়ুন: শুল্ক দফতরে হাজিরা দিতে হবে অভিষেকের স্ত্রীকে, নির্দেশ হাইকোর্টের


এর আগে ২ কেজি সোনা বিদেশ থেকে আনার অভিযোগ উঠেছিল অভিষেকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে। সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক দাবি করেন, ২ গ্রাম সোনাও দেখাতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। সোনা আনা হলে কেন বাজেয়াপ্ত করা হয়নি, সেই প্রশ্নও তোলেন অভিষেক। রুজিরা অভিযোগ করেন, তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা।


অন্যদিকে শুল্ক দফতর জানিয়েছে, রুজিরা প্যান কার্ডে একাধিক অসংগতি থাকায় বলে সমন পাঠানো রুজিরা নারুলাকে নোটিস পাঠায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিদেশ সংক্রান্ত বিভাগ। তথ্য গোপন করে প্যান কার্ডের আবেদন করার অভিযোগ ওঠে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের স্ত্রীর বিরুদ্ধে। 


আরও পড়ুন: বাজেয়াপ্ত হয়নি কিছুই, বিমানবন্দরকাণ্ডে কমিশনের কাছে রিপোর্টে ঢোঁক গিলল কাস্টমস


এদিকে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি আইপি মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ কলকাতা বিমানবন্দরে শুল্ক দফতরের আচরণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। আদালতের বক্তব্য, ১৬ মার্চ একজন যাত্রীর উপর সন্দেহে প্রকাশ করা হল। অথচ তাকে ছেড়ে দেওয়া হল। সাতদিন পর তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের প্রয়োজন পড়ল কেন? এতদিন সময় লাগল কেন?