নিজস্ব প্রতিবেদন: নিউজিল্যান্ডে ভারতীয় দলের সঙ্গে রয়েছেন মহম্মদ শামি। বৃহস্পতিবার বধূ নির্যাতন মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে নোটিস জারি করল হাইকোর্ট। এর পাশাপাশি আলিপুর আদালতের রায় নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।       


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনার সূত্রপাত, ২০১৮ সালে। যাদবপুর থানায় বধূ নির্যাতন ও শ্লীলহানির অভিযোগ করেন তাঁর স্ত্রী হাসিন জাহান। মামলা ওঠে আলিপুর দায়রা আদালতে। ভারতীয় ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারত। আলিপুর আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আলিপুর জজ কোর্টে মামলা করেন ভারতীয় ক্রিকেটার মহাম্মদ শামি ও তাঁর ভাই। মহম্মদ শামি ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে চলা তদন্তের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করে আলিপুর আদালত। আলিপুর জজ আদালতের রায়ে ধাক্কা খান হাসিন জাহান। নিম্ন আদালতের রায়ের বিরোধিতায় চলতি বছর জানুয়ারিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন শামির স্ত্রী। 


কলকাতা হাইকোর্টের মামলা শুনানি চলাকালীন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে মহম্মদ শামির স্ত্রীর আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী জানান, আলিপুর নিম্ন আদালত আইন বহির্ভূত নির্দেশিকা জারি করেছে। তদন্তে স্থগিতাদেশ আদালতের এক্তিয়ার বহির্ভূত। আলিপুর নিম্ন আদালত মহম্মদ শামির বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানায় স্থগিতাদেশ দিতে পারতেন। কিন্তু তদন্তই স্থগিত করে দিয়েছেন বিচারক। শামি বা তাঁর ভাই- দু'জনের কেউই আগাম জামিনের আবেদন করেননি। 


বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ক্ষোভপ্রকাশ করে জানান, আলিপুর আদালতের বিচারকের নির্দেশ আইন বহির্ভূত। ওই নির্দেশ দেওয়ার অধিকার শুধুমাত্র কলকাতা হাইকোর্টের। মহম্মদ শামিকে ও রাজ্য সরকারকে নোটিস দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে আদালতে হাজির হয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরতে হবে শামিকে। 


আরও পড়ুন- বেগড়বাই করলেই শোভনের প্যান্ডোরার বাক্স খুলবে, বুঝিয়ে দিল দিল্লি: সূত্র