নিজস্ব প্রতিবেদন: পুলিশ কমিশনার এলেন সশরীরে, অথচ অরিজিনাল কেস ডায়েরি আদালতে এল না। গোটা ঘটনায় প্রবল ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। "আদালতকে সম্মান করুন।", মন্তব্য বিচারপতির। একই সঙ্গে চন্দননগরের পুলিস কমিশনার অর্ণব ঘোষের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে, ডিজিকে নির্দেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার একটি জামিনের মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অনন্যা বন্দোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে হাজিরা দেন চন্দননগরের পুলিস কমিশনার অর্ণব ঘোষ। সেই মামলার শুনানিতেই প্রবল ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিচারপতিরা। আগামী সাত দিনের মধ্যে পুলিস কমিশনাকে তাঁর আচরণের ব্যাখ্যা দিয়ে হলফনামা জমা দিতে বলল ডিভিশন বেঞ্চ। এ দিন বিচারপতিরা জানান, এটাকে শুধু এক ব্যক্তির জামিনের মামলা হিসেবে তাঁরা দেখছেন না। বরং একজন সরকারি আধিকারিকের ভূমিকায় তাঁরা উদ্বিঘ্ন। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও কীভাবে একজন পুলিস কমিশনার আদালতের নির্দেশ সঠিক ভাবে মানছেন না?


জানা গিয়েছে, আদালত চন্দননগরের পুলিস কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছিল যে, জমি সংক্রান্ত ওই মামলায় ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকের ভূমিকা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিতে হবে। এদিন সেই জমা পড়া রিপোর্ট দেখতে গিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত। বিচারপতিরা দেখেন, কেস ডায়েরির মাঝের ৫টি পাতা নেই। দিনের প্রথমেই বিচারপতিরা ক্ষুব্ধ হয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে তলব করেন। আদালতের মন্তব্য, "যেখানে একজন পুলিস কমিশনার তদন্ত করছেন এবং তিনি নিজে সেই কেস ডায়েরি নিয়ে আসছেন, সেখানে এই ধরনের ঘটনা কীভাবে ঘটে? এখানে আদালতের প্রতি দায়িত্বজ্ঞানহীন মনোভাবই প্রমাণিত হচ্ছে।"


অর্পণ হাজরা নামে এক ব্যক্তি কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে এক আত্মীয়কে মৃত দেখিয়ে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর থেকে জমি নথিভুক্ত করার অভিযোগ ছিল। গ্রেফতারি এড়াতে আগাম জামনের আবেদন করেন মামলাকারী।


আরও পড়ুন: Babul Supriyo: প্রথম ভাষণের দিন বিধানসভায় রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইলেন বাবুল, 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনি বিজেপির


আরও পড়ুন:  Primary TET: প্রাইমারি টেট মামলায় এবার ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য, "২৬৯ নয়, ২৭৩ জনকে বাড়তি এক নম্বর", জানাল পর্ষদ


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)