Abhishek Banerjee: লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ১৬ ফাইলে কী আছে? খতিয়ে দেখবে হাইকোর্ট
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের ইডি-র বিরুদ্ধে হাইকোর্টে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। ফাইল খতিয়ে দেখার পর রায়দান।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ' লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের কম্পিউটারে ১৬ এক্সেল ফাইল ডাউনলোড করেছেন ইডি আধিকারিকরা'! কী আছে সেই ফাইলে? খতিয়ে দেখবে হাইকোর্টে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ, 'বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে ইডি ও কলকাতা পুলিসের সাইবার শাখার আধিকারিকদের সামনে ওই ১৬ ফাইল ডাউনলোড করা হবে। সেই ফাইল খতিয়ে দেখবে আদালত'। কবে? সোমবার।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: 'সমস্যা না মিটলে সোমবার থেকে ধরনা', রাজ্যজুড়ে লোডেশেডিংয়ে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
ঘটনাটি ঠিক কী? শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখন ইডি-র হেফাজতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে 'কালীঘাটের কাকু'। সম্প্রতি তাঁর মেয়ে-জামাইয়ের ফ্ল্যাট-সহ ৩ জায়গায় তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সেই তালিকায় ছিল নিউ আলিপুরে লিপস অ্যান্ড বাউন্সসের অফিসও।
সংস্থার হিসেবরক্ষক চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, 'তল্লাশি চলাকালীন কোম্পানির কম্পিউটারে ১৬ এক্সেল ফাইল ডাউনলোড করেছেন ইডি আধিকারিকরা। ওই ফাইলগুলির সঙ্গে লিপস অ্যান্ড বাউন্সসের কোনও সম্পর্ক নেই'। শুধু তাই নয়, লালবাজারে সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর লিপস অ্যান্ড বাউন্সসের অফিসে যান কলকাতা পুলিসের আধিকারিকরা। বাজেয়াপ্ত করা হয় দুটি কম্পিউটার।
এদিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি বিরুদ্ধে ফের কলকাতা হাইকোর্টে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন? তাঁর অভিযোগ, বেআইনিভাবে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে অফিসে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। এদিন সেই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে।
শুনানিতে অভিষেকে আইনজীবী কিশোর দত্ত বলেন, '২ বছর লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের ডিরেক্টর ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পরে সিইও হন। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র আগে ডিরেক্টর ছিলেন। তাঁর সঙ্গে অভিষেকের নাম কেন প্রেস রিলিজে দেওয়া হল? এই দানবীয় আচরণ কেন'? এরপর বিচারপতির জানতে চান, 'ইডি'র প্রেস রিলিজে স্বাক্ষর নেই কেন? এই মামলায় কি ইডি এমন প্রেস রিলিজ আগে দিয়েছে? ১৬ ফাইলে কি আছে?
আরও পড়ুন: Tarak Singh| Tarak Singh: মেয়রের ফোনেই গলল বরফ, আপাতত ইস্তফা নয় তারকের
লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে তল্লাশি বিতর্কে কলকাতার পুলিস কমিশনার চিঠি দিয়েছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি, 'এক আধিকারিক তাঁর সন্তানে জন্য হস্টেল দেখছিলেন। একটি ওয়েবসাইট খোলার পর আপনা-আপনি ওই ১৬টি ফাইল ডাউনলোড হয়ে যায়'। হাইকোর্টে মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, 'হস্টেল খোঁজা মানে তো শিক্ষাকেন্দ্রের সঙ্গে জড়িত। আর ইডি তদন্ত করছে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির'। শেষপর্যন্ত ফাইল খতিয়ে দেখে মূল মামলা রায়দানের সিদ্ধান্ত নেয় আদালত।