D.EL.Ed: ডিএলএড-র জট কাটল, হাইকোর্টের নির্দেশে স্বস্তিতে পড়ুয়ারা
যাঁরা টেটে বসতে চান, তাঁদের জন্য ডিএলএড বাধ্যতামূলক। ভর্তিতে বেনিয়মের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: ডিএলএড-র প্রথম বর্ষের পরীক্ষা নিয়ে জট কাটল। কীভাবে? প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে শর্তসাপেক্ষে পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশন শুরু করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, যাঁরা ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (এনসিটিই) নিয়ম মেনে ক্লাস করেছেন, পরীক্ষার জন্য শুধুমাত্র তাঁদেরই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তথ্য যাচাইয়ের জন্য পর্ষদকে একমাস সময় দিয়েছে আদালত।
ডিএলএড কোর্সটি দু'বছরের। প্রশিক্ষণ শেষ করার জন্য অবশ্য সর্বোচ্চ ৩ বছর সময় দেওয়া হয় পড়ুয়াদের। যাঁরা টেটে বসতে চান, তাঁদের জন্য ডিএলএড বাধ্যতামূলক। ২০২১-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির শেষদিন ছিল ২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর। তখন পড়ুয়াদের ভর্তি নেওয়া হয়েছিল অনলাইনে।
অভিযোগ, ক্লাস শুরুর ৪-৫ মাস আগে অনেক বেসরকারি ডিএলএড কলেজে নাকি অফলাইনেও ভর্তি নেওয়া হয়! যা নিয়ম বর্হিভূত। শুধু তাই নয়, গত বছরের ডিসেম্বরে পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়,ডিএলএডে যাঁরা অফলাইনে ভর্তি হয়েছেন, তাঁদের নাম নথিভুক্তি হয়নি। নাম নথিভুক্ত করার জন্য পড়ুয়াপিছু ৩ হাজার টাকা দিতে হবে। তারপরেই পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হবে। এরপরই মামলা গড়ায় হাইকোর্টে।
আরও পড়ুন: Chicken Price Hike: মুরগির দামে আগুন! গিলে-মেটেই ভরসা মধ্যবিত্তের
এর আগে, গত বছরের নভেম্বরে ডিএলএড দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্নপত্র ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়! পরীক্ষার্থীদের দাবি ছিল, ভাইরাল হওয়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে নাকি হুবহু মিলে গিয়েছে আসল প্রশ্নপত্র! কীভাবে? প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলেছিলেন, 'পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সবাই সততার সঙ্গে কাজ করে। কেউ একজন অসৎ হলে, সেটা বিশ্বাসঘাতকতা। যাঁরা প্রশ্নপত্র তৈরি করছেন, তাঁরাই ফাঁস করলে কী করা যাবে'?