Kuntal Ghosh: কুন্তল ঘোষ চিঠি মামলায় সিবিআই-কে জেলের ফুটেজ জমা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
সময়সীমা ৪ দিন। ফুটেজ হস্তান্তরের উপস্থিত থাকবেন হাইকোর্টের টেকনিক্যাল টিমের সদস্য। পরবর্তী শুনানি ২৩ জুন।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: সময়সীমা ৪ দিন। কুন্তল ঘোষ চিঠি মামলায় সিবিআইকে জেলের ফুটেজের কপি দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। শুধু তাই নয়, কপি হস্তান্তরের উপস্থিত থাকবেন হাইকোর্টের টেকনিক্যাল টিমের সদস্য। ফুটেজের কপি জমা থাকবে হাইকোর্টের রেজিস্টারের কাছে। মামলার পরবর্তী শুনানি পরবর্তী শুনানি ২৩ জুন।
ঘটনাটি ঠিক কী? নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় এখন ইডি-র হেফাজতে কুন্তল ঘোষ। গত ৬ এপ্রিল ধৃতকে যখন আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়, তখন বিচারক একটি চিঠি দেন কুন্তল। চিঠিতে তাঁর অভিযোগ, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নাম বলানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন তদন্তকারীরা'। কেন? সিবিআই ও ইডি-কে তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বলেন,'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত'।
আরও পড়ুন: Zee 24 Ghanta Impact: টয়রুমকাণ্ডে গ্রেফতার ২ মাদারি, বাজেয়াপ্ত ৩ বাঁদর...
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিলেন অভিষেক। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায় হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃত সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চে। শুধু তাই নয়, কুন্তল ঘোষ চিঠি মামলায় নিজাম প্যালেসে অভিষেককে ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট ধরে জেরাও করেছে সিবিআই। জেরা করা হয় কুন্তল ঘোষকেও। এবার জেলের ফুটেজ চাইল আদালত।
প্রেসিডেন্সি সংশোধাগারে বন্দি কুন্তল। সূত্রের খবর, আদালতের অনুমতি নিয়ে সংশোধানাগারে গিয়ে তাঁকে জেরা করেন সিবিআই আধিকারিকরা। জেরায় কুন্তলের দাবি, দলে মিটিং-মিছিল দেখা হত। কিন্তু অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সঙ্গে ব্যক্তিগত পরিচয় বা যোগাযোগ ছিল না। তাহলে কি চাপে পড়ে সিবিআই-ইডি-র বিরুদ্ধে চিঠি? তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতা বলেন, 'তাঁকে কেউ কোনও চাপ দেয়নি। নিজেই চিঠি লিখেছেন'।