Kaustav Bagchi: কৌস্তভের বিরুদ্ধে FIR-এ স্থগিতাদেশ, হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য
৪ মার্চ ব্যারাকপুরে কৌস্তভ বাগচির বাড়িতে হাজির হয় কলকাতার বটতলা থানার পুলিস। জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। অভিযোগ, মুখ্য়মন্ত্রীকে অপমান করেছেন কংগ্রেস নেতা!
অর্ণবাংশু নিয়োগী: যেদিন গ্রেফতার হয়েছিলেন, জামিন পেয়েছিলেন সেদিনই। কংগ্রেস নেতা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচির বিরুদ্ধে FIR-এ স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। সঙ্গে নির্দেশ, 'আদালতে অনুমতি ছাড়া ৪ সপ্তাহ কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিস'। রিপোর্ট দিতে বলা হল কলকাতার পুলিস কমিশনারকে।
তখন ভোররাত। ৪ মার্চ ব্যারাকপুরে কৌস্তভ বাগচির বাড়িতে হাজির হয় কলকাতার বটতলা থানার পুলিস। জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। অভিযোগ, মুখ্য়মন্ত্রীকে অপমান করেছেন কংগ্রেস নেতা! সেদিন বিকেলেই অবশ্য হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়ে যান কৌস্তভ।
এদিকে পুলিসের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা করেছেন পেশায় আইনজীবী কৌস্তভ। এদিন মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতির রাজশেখর মান্তারের বেঞ্চে। বিচারপতি বলেন, 'কোনও নোটিশ না পাঠিয়ে বাড়িতে হানা, গ্রেফতার! এতে নাগরিকের অধিকার ক্ষুন্ন হয়েছে। কেন মাঝরাতে কৌস্তভের বাড়িতে পুলিস? থানার ভূমিকা খতিয়ে দেখা দরকার'। বটতলার থানা ওসি-র ভূমিকা খতিয়ে দেখে কলকাতা পুলিস কমিশনারকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? সিপিএম নেতার সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'ঘটনার পর ঘটনা ঘটে যায়, পুলিস নিষ্ক্রিয়। সবাই জানতে পারে, পুলিস জানতে পারে না। এক্ষেত্রে পুলিস এত সক্রিয় যে, গ্রেফতার করতে হবে বলে কাগজ তৈরি হতে না হতেই দৌড়ে বেরিয়ে গেল! পুলিসমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিস বেআইনি কাজ করেছে। সবার কাছে এটা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে'।
আরও পড়ুন: SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির টাকা ভিন রাজ্যে, হোটেল ব্যবসায় বিপুল টাকা বিনিয়োগ কুন্তলের!
কৌস্তভ বাগচি গ্রেফতার মামলা হাইকোর্টের নির্দেশে সমালোচনা করেছেন তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁর মতে, 'বিচারকের আসনে বসে রাজনৈতিক মন্তব্য করে যদি মিডিয়ার হাইলাইটে আসতে চান আসবেন! শেষপর্যন্ত রায় দিতে হবে ভারতের বিচারের বিধি মেনেই। মনগড়া রাজনৈতিক মন্তব্যের উপর কোনও নির্দেশ দেওয়া যায় না'।